দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমগ্র দিল্লীতে ‘বৃক্ষ রোপণ’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যেই উদ্যোগে রাজধানীর সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা, বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা, সাধারণ মানুষেরা, এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অংশগ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগ গ্রহণের মূল কারণই হল অত্যাধিক বায়ুদূষণের হাত থেকে শহরকে বাঁচানো এবং মানুষের কাছে ‘বন মহোৎসব’-এর গুরুত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করা।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবরণী প্রকাশিত হয়েছে যেখানে সমস্ত সাধারণ মানুষকে, ব্যাপারীদেরকে, ইকো-ক্লাব, স্কুলের ছাত্ররা এমনকি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের আবেদন করা হয়েছে তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় অথবা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী গ্রহণ করে।
এই রিভিউ মিটিং-এ বন-বিভাগের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা, তাছাড়া দিল্লীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকগণ, জেলা আধিকারিকগণ, বরিষ্ঠ জেলা আধিকারিকগণ, দিল্লী ডেভলপমেন্ট অথরিটির আধিকারিকগণ, পাবলিক ওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট বিভাগের আধিকারিকগণ ও আরও অন্যান্য সংস্থার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই গণ উদ্যোগকে সাফল্য মণ্ডিত করার জন্য দিল্লীর সরকার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ১৮০০১১৮৬০০ নিঃশুল্ক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন, যাতে জনসাধারণ কোথায় কোথায় বৃক্ষ রোপণ অনুষ্ঠান চলবে এই বিষয়ে সঠিক তথ্যাদি পেতে পারে। এই উদ্যোগের সাথে জড়িত সমস্ত সংস্থাকে জানানো হয়েছে যে শুধুমাত্র বৃক্ষ রোপণই নয়, সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে যাতে এই দিন প্রথিত সমস্ত উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে।
কৃষি জাগরণ মিডিয়া গ্রুপের তরফ থেকে ৩০ জন সদস্যের একটি দল গ্রীণ পার্কের কাছে রণজিৎ পার্ক উদ্যানে এই বন মহোৎসবে যোগদান করেছিলো, যেখানে তারা ২০ থেকে ৩০টি চারাগাছের রোপণ করেন। এই সংস্থার প্রতিটি সদস্য যে সর্বসময় সবুজায়ন যজ্ঞে নিজেদের আহুত করেছে তা তারা এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে নিজেদের প্রযুক্ত করে প্রমান করেছেন।
উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক মিঃ যোগেন্দ্র কু এবং সুপারভাইজার মিঃ রামজি শর্মা, উদ্যানের সবুজায়নকে আরও বৃদ্ধি করতে কৃষি জাগরণ টিমের সাথে হাত লাগিয়েছিলেন।
কৃষি জাগরণ মিডিয়া গ্রুপের এডিটর ইন চিফ্ মিঃ এম সি ডোমিনিক, তাঁর স্ত্রী সাইনি ডোমিনিক ও পুত্র রাজা একটি করে চারাগাছ রোপণ করেছেন, এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সদস্যই প্রতি বছরই এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের শপথ নিয়েছেন। কৃষি জাগরণের প্রধান শ্লোগান হল সবুজ ভারত। আমরা সকলেই দিল্লী সরকারের এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেছি, কারণ আমরা সকলেই এমন একটি উদ্যোগের অংশীদার হয়েছি যাতে আগামী প্রজন্ম একটি মুক্ত, সবুজ ও নির্মল পৃথিবীকে উপভোগ করতে পারে।
- প্রদীপ পাল
Share your comments