জম্মু ও কাশ্মীরে এবছরের ঠাণ্ডা যেন স্লগ ওভারের মতো চালিয়ে খেলছে, ভেঙ্গে ফেলতে চলেছে যাবতীয় রেকর্ড। প্রতিদিনই পারদ নেমে নেমে এখন হিমাংকের নিচে চলে গেছে এবং মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে এই অবস্থা যদি জারি থাকে তাহলে এই বছরের শীত ভেঙ্গে দেবে বিগত দশ বৎসরের যাবতীয় রেকর্ড। এখন এমন অবস্থা চলছে এই রাজ্যে যে বেলা দ্বিপ্রহরে যখন সূর্যের দেখা মিলছে সেই সময়ই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্মের জন্য, কিন্তু সকাল, সন্ধ্যা ও রাত্রিবেলা শীতের প্রকোপ এতটাই বেশি থাকছে যে তাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সাড়া উত্তরভারতেই এই বৎসর ঠাণ্ডার প্রকোপ অত্যাধিক পরিমাণে বেশি, কিন্তু কাশ্মীরের তাপমান প্রতিদিনই শূন্যের থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে। এর প্রভাব শ্রীনগরের ডাল লেকে পড়েছে, কারণ অতি শৈত্যপ্রবাহের ফলে এখানকার জল জমতে শুরু করেছে, এবং তা অনেকটাই জমে বরফ হয়ে গেছে। এখন এই রাজ্যের তাপমান -৭.৬ ডিগ্রী রয়েছে। এই পরিমাণ তাপমাত্রার পতন শ্রীনগরে বিগত ২৮ বৎসর কালের মধ্যে সর্বকালীন রেকর্ড।ঠাণ্ডা হাওয়ার কামড় সামলানোর জন্য মানুষের কাছে একমাত্র ভেড়ার পশমের কম্বলই একমাত্র ভরসা এবং এই ধরণের কম্বল ব্যবহার করেই বেঁচে আছে এখানকার জনজীবন।
শ্রী অমরনাথ যাত্রার জন্য যে প্রথম যাত্রা শিবির খোলা হয় সেই পেহেলগাও-এর তাপমান এখন -৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। গুলমার্গের ন্যূনতম তাপমাত্রা -৯.৫ ডিগ্রী ও লেহ তে ন্যূনতম তাপমাত্রা -১৩.৫।
- প্রদীপ পাল(pradip@krishijagran.com)
Share your comments