এই চাষের মরশুমে দেশের কৃষকদের রাসায়নিক সার কেনার জন্য ৫ থেকে ২৬ শতাংশ মূল্য বেশী দিতে হবে। এমন ব্যাপক হারে সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ স্বরূপ বলা হচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক স্তরে পটাস ও ফসফেট সারের মূল্যবৃদ্ধি, যেগুলি কিনা রাসায়নিক সারের মূল উপাদান। রাসায়নিক সার কোম্পানি বিশ্লেষক ও মুখপাত্র জানাচ্ছেন যে, যদি সরকার থেকে প্রতি এককের উপর ভর্তুকি বৃদ্ধি করে তাহলে হয়তো কৃষকদের কিছুটা খরচ কমতে পারে। এইসময় ইউরিয়ার উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ পুরোদস্তুর বজায় থাকার দরুণ এর মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।
কোম্পানি বিশ্লেষক আরও বলেছেন, খারিফ ঋতুতে ৫০ কেজি ডাই- অ্যামোনিয়াম ফসফেট প্রতি বস্তা কিনতে চাষির খরচ হয়েছে ১৪০০ টাকা এখন সেই বস্তার দাম ৮% বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৫১২ টাকা। আগামী মাসে এর মূল্য আরো ৪% বৃদ্ধি পাবার আশা রয়েছে। মিউরিয়েটস্ অব্ পটাশের দাম ২৬% বেড়ে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ৮৮০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৫-১০% হয়েছে। এখন ৫০ কেজি প্রতি বস্তা এই সব সারগুলি কিনতে হলে দাম পরবে ৯৬০-১১৮০ টাকা।
ইফকোর যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকেশ কাপুর বলেছেন “বিশ্ব বাজারে টাকার দাম পড়ে যাওয়ার ফলেই আমদানিকৃত কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে। এখন কোম্পানি সমূহকে দেখতে হবে তারা কেমনভাবে সারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। মূল্য ৫% হবে, না ১৫% হবে তা সাধারণত সারের গুণমানের উপর নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন যে প্রতীতি সংস্থাই আগামী রবি শস্যর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ রাসায়নিক সারের মজুতকরণ করেছে। রবি মরশুমের জন্য যে পরিমাণের সার প্রয়োজন সেগুলি মোটামুটি এইরকম – ১৬২.৭৪ লক্ষ টন ইউরিয়া, ৫০.৪৬ লক্ষ টন ডাই- অ্যামোনিয়াম ফসফেট, ১৭.২৮ লক্ষ টন মিউরিয়েটস্ অব্ পটাশ, ৫২.১৯ লক্ষ টন এন.পি.কে, ২৯.৮০ লক্ষ টন এস.এস.পি।
- প্রদীপ পাল
Share your comments