উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায় ‘হানি হাব’ তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং উদ্যানপালন দপ্তর। মৌ-পালকদের কাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে এখানে প্রসেসিং করে বাজারে বিক্রি করা হবে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি, বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। বর্তমানে জেলার মৌ-পালকেরা ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই মধু বিক্রি করেন। কিন্তু, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কোঅপারেটিভ এর মাধ্যমে মৌ-পালকেরা সরাসরি মধু বিক্রি করবেন। ফলে, তাঁরা অনেক বেশি লাভবান হবেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে সারা বছরই মধু সংগ্রহ করেন মৌ-পালকেরা। এই জেলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মৌ-পালক রয়েছেন। এই জেলার উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন এবং বিদেশেও রপ্তানি হয়। ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলার মধুর ভালো চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু, তা করা হয় বেসরকারি এবং ব্যক্তি উদ্যোগে।তাই জেলার সমস্ত মৌ-পালকদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দেগঙ্গায় কিষাণ মাণ্ডিতেই এই প্রকল্প তৈরি হবে। এই হানি হাবে বেশ কয়েকটি ইউনিট যেমন, কালেকশন সেন্টার, প্রসেসিং ইউনিট, প্যাকেজিং সেন্টার, স্টোরেজ ইউনিট, ডিসপ্লে ইউনিট প্রভৃতি থাকবে । প্রথমে মৌ-পালকদের কাছ থেকে কালেকশন সেন্টারে মধু সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেই মধু প্রসেসিং ইউনিটে যাবে। প্রসেসিং হয়ে গেলে প্যাকেজিং করা হবে। সেখান থেকে স্টোরেজ ইউনিটে রাখা হবে। তারপর ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং করা হবে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments