
মধুতে অ্যান্টিবায়োটিক মিশে থাকার অভিযোগে আমেরিকা ও ইউরোপে রপ্তানি করার পর ভারতে কয়েকশো টন মধু ফেরত পাঠিয়ে দিল মধু ক্রয়কারী দেশগুলি । সেখানকার গবেষণাগারে পরীক্ষা করে তাতে অ্যান্টিবায়োটিক মেলায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এই রাজ্যের মৌমাছি পালকরা রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন সুন্দরবনের মধু বিক্রির ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন মৌমাছি পালকরা।
মৌপালকরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। মৌপালকরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধু সংগ্রহ করে। রোগ প্রতিরোধের জন্য মৌমাছির উপর নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু, মধু সংগ্রহের সময় বেশি উৎপাদনের আশায় বেশ কিছু মৌপালক যথেচ্ছ পরিমাণে এই ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করছেন ফলে মধুর সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক মিশে যাচ্ছে। আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলিতে গবেষেণাগারে পরীক্ষার পরই তা বিক্রির ছাড়পত্র পায়। সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়েছে মধুতে মিশে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক। যার জেরে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মধু ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে, এই রাজ্যের হাজার হাজার মৌমাছি পালক মন্দা বাজারের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে তৈরি হওয়া ভেজাল মধু রাজ্যের মৌচাষিদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জল-চিনির মিশ্রণ ফুটিয়ে তা ঘন করে তাতে পরিমাণ মতো চা পাতা সেদ্ধ করে মিশিয়ে রং আনা হচ্ছে এর সাথে রাসায়নিক গন্ধ মেশানো হচ্ছে। আর এভাবেই নকল মধু তৈরি করে তা নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা এই সমস্ত ভেজাল মধুর জন্য নাম খারাপ হচ্ছে সুন্দরবনের মধুর। ওয়েস্ট বেঙ্গল বি-কিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে মৌমাছি পালকদের অ্যন্টিবায়োটিক প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
- রুনা নাথ
Share your comments