ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনোলজি ম্যানেজাররা কৃষিক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। তাদের মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সাহায্য ও উদ্ভাবন কৃষকদের কাছে পৌঁছে যায়। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে চাষীদেরকে কৃষি পদ্ধতি শেখানো ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বন্ধে অবহিত করা তাদের কাজ। কৃষি সম্প্রসারণের সিংহভাগই প্রবর্তন হয় এই অফিসারদের মাধ্যমে। হুগলী জেলার সমস্ত ATM ও BTM অফিসারদের আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিতে জেলার কৃষি কেন্দ্রে তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করা হয়েছিল।
দুটি কোর্সের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ চালনা করা হয় – প্রথমটি গত ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৮শে সেপ্টেম্বর ও শেষটি ৩রা অক্টোবর থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত চলে। ৫ই অক্টোবর প্রশিক্ষণের শেষদিনে হুগলী জেলার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের হলে সকলকে সার্টিফিকেট ও ব্যাগ দেওয়া হয়। আধ ঘন্টার একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোর্স কো-অর্ডিনেটর ডঃ কিরণময় বাড়ৈ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হুগলী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের হেড ডঃ নিতাই মুদি, ডঃ বাপ্পাদিত্য সেনাপতি (ADA প্ল্যান্ট প্রোটেকশন হুগলী), ডঃ সামসুল হক আনসারী (SMS – হর্টিকালচার, হুগলী KVK), এগ্রিকালচার এক্সটেনশন ডঃ অঞ্জন কুমার চৌধুরী, প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট অনিক মজুমদার প্রমুখ। সমস্ত ATM ও BTM অফিসারদের গ্রামের মানুষদের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে বলেন ডঃ অঞ্জন কুমার চৌধুরী। ডঃ নিতাই মুদির কথায় “আপনারা (অফিসাররা) উন্নত প্রযুক্তির সম্বন্ধে যথেষ্টই অবগত, কিন্তু আগামীদিনে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জেলার কৃষক সমস্যাগুলির ওপর দৃষ্টি দেওয়া জরুরী, এক্ষেত্রে আপনাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।”
এই তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির দুটিতে প্রযুক্তি গত বিষয়গুলিতে যেমন – শস্য উৎপাদন, উদ্যানবিদ্যা, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ, সুসংহত উপায়ে রোগ পোকা দমন, মাটির স্বাস্থ্য ও সম্প্রসারণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার সবকটি দপ্তরের পক্ষ যেমন কৃষি দপ্তর, উদ্যানপালন দপ্তর, প্রাণীসম্পদ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর, কৃষি বিপণন দপ্তর এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি প্রযোজনা করে ATMA হুগলী ও প্রধান উদ্যোক্তা হলেন ডঃ জয়ন্ত পাড়ুই মহাশয়। কোর্সটির কো-অর্ডিনেটর ডঃ কিরণময় বাড়ৈ বলেন “এই কোর্সগুলির মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করা অফিসাররা কৃষকদেরকে আরও সাহায্য করতে পারবেন।”
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments