অর্থনীতির সংকটের কবলে সমগ্র দেশ। গত কয়েক মাসে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রের খবরও যথেষ্ট হতাশাজনক। বিগত তিন বছরের মধ্যে বেকারত্ব পৌঁছেছে চরম সীমায়। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি- র তথ্যানুযায়ী, অক্টোবরে এই বেকারত্বের হার ৮.২ শতাংশে পৌঁছেছে, গত সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৭.২ শতাংশ। অর্থাৎ দিন দিন বর্ধিত হচ্ছে বেকারত্বের হার। লক্ষণীয়, চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি নেমেছে ৬ শতাংশেরও নীচে। শিল্পায়নের হারও হ্রাসের দিকে। ভাঙ্গনের ইঙ্গিত বহন করছে শিল্পের পরিকাঠামো।
দেশ জুড়ে শিল্পের বৃদ্ধির হার মন্থর। অটোমোবাইল সেক্টরগুলিতে অর্থনীতির সংকট যেন প্রকট। ব্যাঙ্ক, টেলিকম, রেল – বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে মন্দা। অক্টোবরে গোটা দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে ১৪ শতাংশ। অর্থনীতির সংকটে কেন্দ্রীয় সরকার। অশোক লেল্যান্ড এবং টয়োটা কির্লোস্কার কোম্পানির অবস্থাও প্রায় সমান। অশোক লেল্যান্ড সংস্থার বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ৩৫ শতাংশ। বাজাজ কোম্পানির মোটরসাইকেল বিক্রির সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ। মোটরসাইকেলের রপ্তানি ৩ শতাংশ বর্ধিত হলেও বাণিজ্যিক গাড়ির রপ্তানি ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সমগ্র দেশে মোটরসাইকেল ও বাণিজ্যিক গাড়ি মিলিয়ে বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ১১.৪৮ শতাংশ।
চলতি বছরে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হওয়া যেন এক প্রহেলিকা, লক্ষণীয়ভাবে কমছে চাকরির সংখ্যা। গবেষণা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ২০১১-২০১৮ – এই ৬ বছরে ভারতবর্ষে চাকরির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯০ লক্ষ।
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানান, ২০১১-২০১৮ – এই ছয় বছরে গড়ে প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। স্বাধীন ভারতে এই হারে চাকরির সংখ্যা হ্রাস এই প্রথম।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments