কৃষিজাগরন ডেস্কঃ সাংসদ পদ খারিজ হল রাহুল গান্ধীর।২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদবী নিয়ে আপত্তিকর এক মন্তব্য করেছিলেন।তার ভিত্তিতে বিজেপি নেতা এবং বিধায়ক এবং গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত বক্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।সেই মামলার শুনানিতে গতকাল সকালে গুজরাটের সুরাট জেলার দায়রা আদালত কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
সুরাটের আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই তাঁর উপর সাংসদ পদ বাতিলের কথা উঠছিল। শুক্রবার সংসদের সচিবালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, বৃহস্পতিবার থেকেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাঁর ওয়ানড় (Wayanad) লোকসভা কেন্দ্রটি এখন সাংসদ শূন্য।
আরও পড়ুনঃ ফের শোকের ছায়া বলিউডে,প্রয়াত পরিচালক প্রদীপ সরকার
আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজায় দণ্ডির হন, তবে তৎক্ষণাত তাঁর পদ খারিজ হবে। এই আবহে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয় আজ। ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে বলে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কের উপর আলু ছড়িয়ে প্রতিবাদ জানাল কৃষকরা
ওই আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু ওই আইনেরই ৮(৪) ধারায় বলা হয়, সাজা ঘোষণার সময় যদি কেউ জনপ্রতিনিধি থাকেন, তা হলে পরবর্তী তিন মাস বা উচ্চতর আদালতে সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদনের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে না।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হতেই তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছেন। যখন অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার জন্য! আজ, গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল।’’
Share your comments