বাঙালির আবেগের নাম দুর্গাপুজো। গোটা এক বছরের আবেগ, অপেক্ষা, প্রস্তুতির পরই সারা বাংলা এমনকি গোটা দেশের বিভিন্ন কোনায় ৪ দিন ব্যাপি পালিত হয় দুর্গোৎসব। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের আবেগ, আনন্দ, অপেক্ষার অবসান মাখা কিছু অনুভূতি। বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই চার দিনের জন্য। সারা বছরের অপেক্ষার পর মা দুর্গা ফিরে আসেন বাপের বাড়ি। আর ঘরের মেয়েকে ঘিরে হাজারো উচ্ছাস, আনন্দ বাংলার প্রতিটি ঘরে। গোটা পরিবারের সঙ্গে বন্ধুরের সঙ্গে আড্ডা, প্যান্ডেল হপিং খাওয়া দাওয়া হাজারো পরিকল্পনা মিশে থাকে এই উৎসবকে ঘিরে। আর আজ বাংলার গর্বের দিন, দেশের গর্বের দিন। কারন এই উৎসবকে ঘিরে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেল বাংলা। ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ এই উৎসব।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য তৈরি হবে বিশেষ পরিচয় পত্র,জেনে নিন কি কি সুবিধা পাবেন
১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে পালিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ১৬ তম অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে উঠে এল কলকাতার দুর্গাপুজো। আজ ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির অনুষ্ঠানে নাম জুড়ল পশ্চিমবঙ্গের। বাংলার মাথায় জুড়ল নয়া পালক। এই সংবাদে খুশি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সকলেই সামিল হয়েছেন এই খুশির দিনে। এই খুশি বাংলার প্রতিটি মানুষের। প্রতিটি উদ্যগতাদের এবং প্রতিটি শিল্পীর যারা এই উৎসবের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
প্রসঙ্গত, এই স্বীকৃতির তালিকায় এর আগেও ভারতের বিভিন্ন কোনা নিজের নাম যুক্ত করেছে। ২০১৩ সালে ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ইউনেসকোর তরফে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ হেরিটেজের স্বীকৃতি পায়। ২০১৬ সালে যোগচর্চা এবং 2017 সালে কুম্ব মেলা এই স্বীকৃতি লাভ করে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ছৌ লোকনৃত্য এই তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করে। আজ সত্যিই গর্বের দিন যারা এই শিল্প গুলির দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন। আজ এই দুর্গা পুজোর জন্যই বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি ঢাকের অস্ত্বিত্ব রয়েছে। আজ ইউনেসকোর নয়াদল্লি অফিসের টুইটার হ্যান্ডেল বাংলার প্রাপ্ত এই সম্মানের সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
Share your comments