
মকর সংক্রান্তির দিন কুম্ভ মেলা শুরু হয় যে মেলায় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে যোগদান করেন। কিন্তু যে সমস্ত মানুষেরা শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ শারীরিক কারণে এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে অসমর্থ তাঁদের জন্য বিষ্ণু পুরাণে এক উপায় বলা রয়েছে এই যে তিনি সম্পূর্ণ সৎ ইচ্ছায় ঘর থেকেই গঙ্গা স্নান করে ইষ্ট নাম জপ করলেই মহাকুম্ভ স্নানের সমান পূণ্য অর্জন করতে পারবে। বিষ্ণু পুরাণে যে সমস্ত শ্লোকের কথা লিপিবদ্ধ আছে তার অর্থ এই যে কোনো ব্যক্তি যদি ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরেও থাকেন, তিনি দূর থেকেই গঙ্গা মায়ের নাম পবিত্র মনে উচ্চারণ করে কোনো জলাশয়ে স্নান করলেও তাঁর কুম্ভ স্নানের সমান পূন্যার্জন হয় এবং তাঁর তিন জন্মের পাপ কেটে যায়।
আরও পড়ুন খিচড়ী থেকে তিলকুট পর্যন্ত, কিভাবে মকর সংক্রান্তি ভারত জুড়ে উদযাপন করা হয়
এবার কুম্ভ মেলায় পূণ্যার্থীদের জন্য একটি স্পেশাল লেজার শো এর সংযোজনা করা হয়েছে, যেখানে যন্ত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাকুম্ভের মহত্ম্যকে জনসাধারণের কাছে ছবি ও বক্তব্যকে তুলে ধরা হবে।
এইবার কুম্ভমেলায় সারা ভারত থেকে প্রায় ১২ কোটিরও বেশী মানুষ কুম্ভস্নান করতে আসছে এমনটা মনে করা হচ্ছে, এই কারণে কুম্ভমেলার প্রাঙ্গণে বিশাল সাজসজ্জার তোড়জোড় চলছে। রুদ্রপ্রয়াগে স্মস্ত মেলাপ্রাঙ্গনে প্রায় ৪০ হাজার এল ই ডি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে তার সাথে স্পাইরাল লাইটের ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে, এছাড়া পূণ্যার্থীদের স্নানের আগে ও পরে পোশাক আসাক পরিবর্তন করার জন্য নতুন নতুন বহুসংখ্যক চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়েছে, অর্থাৎ আয়োজন এতটাই শৃংখলাবদ্ধভাবে করা হয়েছে যাতে কোনো পূণ্যার্থীর কোনো রূপ অসুবিধা না হয়। মেলাস্থলে সারিবদ্ধভাবে প্রায় ১৫০০০০ সুলভ পায়খানা তৈরী করা হয়েছে এবং সেগুলিকে পয়পরিষ্কার করার জন্য প্রায় ২০০০০ কর্মচারীকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এই বার সরকার কুম্ভমেলার লস্ট এন্ড ফাউন্ডের জন্য ১৫ টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যাবে, মেলা চলাকালীন যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পূণ্যার্থীরা খুব সহজেই এই সমস্ত কেন্দ্র থেকে সহায়তা পেতে পারেন। এছাড়া কুম্ভমেলা সম্পর্কে মোবাইল অ্যাপ তৈরী হয়েছে যার সাহায্যে পূণ্যার্থীরা খুব সহজেই এই সব পরিষেবা পেতে পারে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments