আইনমন্ত্রকের অনুষ্ঠানে দিল্লিতে আজ উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিরা। এদিন এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় শাসন, আইন এবং বিচার ব্যবস্থার সমস্ত নিয়ম, পরিধি সংবিধান ঠিক করে দিয়েছে। তাই সেই নিয়ম পালনে সকলেরই লক্ষনরেখা রয়েছে। সেই রেখা অতিক্রম করা উচিত নয়।
এই সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্ত্যব্য অনুযায়ী দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিকাঠামোই নজর দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন আইন ব্যবস্থা, আইনের ভাষা সাধারণের জন্য বোধগম্য করে তুলতে হবে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার জন্য প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন “ যেখানে আমাদের দেশে বিচারব্যবস্থা সংবিধানের ক্ষেত্রে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে। নাগরিকদের আশা আকাঙ্খা প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে আইন ব্যবস্থা আরও সুগঠিত হলে আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে। ন্যায়, বিচার সকলের জন্য একই হওয়া উচিত।“ পাশাপাশি তিনি আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোকপাত করেন। সেগুলি হল বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাল মাধ্যমের প্রয়োগ। তিনি জানান বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ “মানুষের প্রতি অন্যায়” পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে রাজ্যের দিকে আঙ্গুল মোদীর
এছাড়াও তিনি আইনের ভাষা নিয়ে সওয়াল করেন। বলেন, আমাদের দেশে বিচার পদ্ধতি সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে মাতৃভাষায় চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা কেন শুরু করা যাবে না ? মাতৃভাষায় এই পড়াশোনা হলে প্রত্যন্ত্য গ্রামের পড়ুয়ারা ভাষা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবে না।
আরও পড়ুনঃ “প্রাকৃতিক চাষের আওতায় এখন ৪ লাখ হেক্টর” নরেন্দ্র সিং তোমর
এদিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন জল্পনা চলছিল যে এদিন মোদি মমতার বৈঠক হতে পারে। তবে সেরকম কোনও বৈঠক হয়নি। তবে সম্মেলনে মোদির প্রশংসা করেন মমতা। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্মেলনে হালকা মেজাজেই দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুনঃ “কৃষকরা ভিখারি নয়, ওদের আবেগ নিয়ে খেলবেন না”, ধান সংগ্রহ নিয়ে মোদীকে হুঁশিয়ারি কেসিআরের