‘পশু বীমা প্রকল্প’ (Livestock Insurance Scheme) প্রাণীসম্পদের সুরক্ষায় কৃষকদের সহায়তায় সরকারের উদ্যোগ

গবাদি পশু কৃষকদের নিয়মিত আয়ের উত্স। তবে প্রায়শই, বিভিন্ন রোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পালিত প্রাণীর মৃত্যু ঘটে, যার ফলে কৃষকরা অর্থের ক্ষতির শিকার হন। এই সমস্যাটি বিবেচনা করে, কৃষকদের অর্থকষ্ট থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য সরকার পশুসম্পদ বীমা (Livestock Insurance ) প্রকল্প পরিচালনা করছেন।

KJ Staff
KJ Staff

গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এবং শূকর – এই প্রাণীগুলি প্রধানত দুধ এবং মাংস উত্পাদন করে। বাজারে এর চাহিদা অনেক। এই কারণেই প্রাণী পালনের মাধ্যমে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন আবার কৃষিকাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত উপার্জনের জন্যও অনেকে প্রাণীপালন করে থাকেন। প্রাণীগুলি কৃষকদের নিয়মিত আয়ের উত্স। তবে প্রায়শই, বিভিন্ন রোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পালিত প্রাণীর মৃত্যু ঘটে, যার ফলে কৃষকরা অর্থের ক্ষতির শিকার হন। এই সমস্যাটি বিবেচনা করে, কৃষকদের অর্থকষ্ট থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য সরকার পশুসম্পদ বীমা প্রকল্প পরিচালনা করছেন।

রাজ্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রকল্পের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হিসাবে নিযুক্ত থাকেন। যে সমস্ত রাজ্যে এই জাতীয় বোর্ড নেই, সেখানে পশুপালন বিভাগের যিনি পরিচালক,  এই প্রকল্প সম্পর্কে তাঁর থেকে বীমা আবেদনকারীকে যাবতীয় তথ্য জানতে হবে। জেলার পশুপালন বিভাগের সর্বাধিক সিনিয়র কর্মকর্তার মাধ্যমে সিইওকে বিভিন্ন জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে হবে; এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০০ টি রাজ্যে এই সুবিধা আছে।

সকল প্রাণীর বীমা করা যেতে পারে -

এই বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে, কৃষকরা তাদের গবাদি পশু -সমস্ত প্রাণীর বীমা করতে পারেন। সরকার কর্তৃক পরিচালিত এই প্রাণী বীমা প্রকল্পে, কৃষক একসাথে সর্বোচ্চ পাঁচটি পশুর বীমা করতে পারবেন, একত্রে বীমা হওয়া পাঁচটি প্রাণীকে এক ইউনিট হিসাবে বিবেচনা করা হবে। ভেড়া, ছাগল, শূকর ইত্যাদির মতো মাংস উত্পাদনকারী প্রাণীর ক্ষেত্রে ১০ টি প্রাণী একটি ইউনিট হিসাবে বিবেচিত হবে।

প্রাণীসম্পদ বীমা প্রকল্পের প্রিমিয়ামে অনুদান -

সরকার পশুর বীমা করার জন্য রাজ্যের গবাদি পশু মালিকদের জন্য বীমা কিস্তিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। এপিএল বিভাগের কৃষকদের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি এবং বিপিএল, তফসিলি জাতি, তপশিলী উপজাতি বিভাগের গবাদি পশুপালকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিমুক্ত কিস্তিতে কৃষকদের বীমা দেওয়া হচ্ছে। বাকি কিস্তি কৃষকদের নিজেদের দিতে হবে। এক বছরের জন্য বীমা প্রিমিয়ামের সর্বোচ্চ হার ৩ শতাংশ এবং তিন বছরের জন্য ৭.৫০ শতাংশ হবে।

বীমাকৃত প্রাণীর মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বীমা সংস্থাকে অবহিত করা প্রয়োজন -

বীমাকৃত পশুর মৃত্যুর পরে, বীমা সংস্থাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কৃষকদের জানাতে হবে। এর পরে পশুপালন বিভাগের চিকিৎসকরা পশুর শব পরীক্ষা করবেন এবং তার রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ লিখিতভাবে দেবেন। অফিসাররা এক মাসের মধ্যে বীমা কোম্পানীর কাছে আবেদন (Claim) ফর্ম জমা দেবেন এবং সংস্থাটি তারপর পালককে ইন্সিওরেন্সের অর্থ প্রদান করবেন।

Related Link - https://bengali.krishijagran.com/animal-husbandry/micro-livestock-farming-increasingly-precious-in-developing-countries/

https://bengali.krishijagran.com/animal-husbandry/know-the-benefits-duck-farming/

https://bengali.krishijagran.com/animal-husbandry/this-breed-of-cow-is-capable-of-producing-up-to-22-liters-of-milk-per-day/

Published On: 28 May 2020, 06:47 PM English Summary: ‘Livestock Insurance Scheme’ is an initiative of the government to help farmers in the protection of livestock

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters