
কিছুদিন আগেও দেশের আলাদা আলাদা রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ এবং আক্ষেপ ছিলো, এবং এর জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক বিরোধ দেখা গিয়েছিলো। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশের সবথেকে বড় পিঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য মহারাষ্ট্র সরকার পিঁয়াজ উৎপাদকদের বিরূপ পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্যের একটি প্রস্তাব পেশ করছেন। পিঁয়াজ চাষীদের করুণ অবস্থার অবসায়নের পরিপ্রেক্ষিতে এটি খুব ভালো পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার এর আগে ২০০ টাকা প্রতি ক্যুইন্টাল হিসাবে ভর্তুকি ঘোষনা করেছিলেন, যারা তাঁদের উৎপাদিত পেঁয়াজ ১লা নভেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বেচেছিলো। কিন্তু নতুন বিবেচনার পর, যে সব কৃষক নিজেদের ধার পরিশোধ করেছেন তারাও এখন এই সহায়ক মূল্য পেতে পারবেন।
৩১শে জানুয়ারী ২০১৯ –এ জারি হওয়া একটি সরকারী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, "১৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ পিঁয়াজের মূল্যের তেমন কোনো উন্নতি হয় নি, দাম ক্রমাগত পড়েছে। প্রতিনিধি, কৃষক, ও কৃষিসংগঠনগুলিও এই সহায়ক মূল্যের সময়কালকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন।"
নাসিকের লাসলগাঁও এপিএমসিতে পিঁয়াজের নূন্যতম মূল্য ১.৫১ টাকা প্রতি কিলো ছিলো যা কিনা ৩০ শে জানুয়ারী সর্বাধিক ৭ টাকা প্রতি কিলো হিসেবে বিক্রি হয়েছে।
২০শে ডিসেম্বর ২০১৮তে, মহারাষ্ট্র সরকার পিঁয়াজ উৎপাদকদের জন্য ১৫০ কোটি টাকার একটি ভর্তুকি যোজনা ঘোষনা করেছিলেন তাঁদের জন্য যারা ১ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের উৎপাদন বিক্রয় করেছিলেন।
বাজারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পিঁয়াজের দাম ১ টাকা প্রতি কিলোতে কমে যাচ্ছিলো, ফলে চাষের খরচ বাদ দিয়ে কৃষক তাঁর উৎপাদনকে জমি থেকে মান্ডি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার খরচ পর্যন্ত উঠাতে পারে নি। আগের কিছু পিঁয়াজ মজুতঘরে জমে ছিলো এবং কৃষকদের এই মজুতের ভাড়াও গুনতে হয়েছে, এই সমস্ত কারণে পিঁয়াজ চাষীরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলো।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments