পশ্চিমবঙ্গে পণ্য মজুত রাখার ব্যবসা বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা দেখছে মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর সংস্থা মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে এ রাজ্যে ২ লক্ষ বর্গফুটের আর একটি গুদামঘর লিজে নিতে চলেছে মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স। এর জন্য ১.৫ কোটি টাকা লগ্নি করবে সংস্থাটি। বর্তমানে এ রাজ্যে তাদের ৬টি গুদামঘর রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে পণ্য মজুত রাখার ব্যবসা বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা দেখছে মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর সংস্থা মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স। মঙ্গলবার কলকাতায় সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ফিরোজশাহ সরকারি বলেন, ‘এ রাজ্যে আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পণ্য পরিবহণ এবং পণ্য মজুত রাখা দুই ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভালো ব্যবসা আসছে। আর সে কারণে এখানে আর একটি গুদামঘর খোলার জন্য আলোচনা শুরু করা হয়েছে।’ রাজ্যের কোথায় তাদের নতুন গুদামঘর হবে সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি ফিরোজশাহ। তিনি বলেন, ‘পণ্য বণ্টন করার কেন্দ্র হিসাবে কলকাতার গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রাজ্যকে কেন্দ্র করে বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে পণ্য পরিবহণ করা অত্যন্ত সহজ।’
চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে এ রাজ্যে ২ লক্ষ বর্গফুটের আর একটি গুদামঘর লিজে নিতে চলেছে মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স। এর জন্য ১.৫ কোটি টাকা লগ্নি করবে সংস্থাটি। বর্তমানে এ রাজ্যে তাদের ৬টি গুদামঘর রয়েছে। দেশের অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলিকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য হুগলির ডানকুনিতে একটি সর্টিং হাব তৈরি করছে মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স। কলকাতা ছাড়াও গুরুগ্রাম, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়েও গুদামঘর খুলতে চলেছে সংস্থাটি। যার মোট আয়তন দাঁড়াবে ১০ লক্ষ বর্গফুট। এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মধ্যে আরও ১০ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের গুদামঘর খুলবে মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্স।
গত অর্থবর্ষে সংস্থাটির মোট ৩,৮৬০ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছিল। এর ১০% পূর্ব ভারত থেকে আসে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের মধ্যে তা ৬,০০০ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পূর্ব ভারত থেকে মোট ব্যবসার ১৫ শতাংশ থেকে ২০% আসবে বলেই আশাবাদী ফিরোজশাহ। সংস্থাটির গুদামঘর ব্যবসা বার্ষিক ৩০% হারে এবং পণ্য পরিবহণ ব্যবসা বার্ষিক ৮% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য জলপথে পণ্য পরিবহণের উপর জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। বর্তমানে তাদের মোট ব্যবসার মাত্র ৫ শতাংশ এই ক্ষেত্র থেকে আসে। সংস্থার জলপথে পরিবহণ ব্যবসা দেখভাল করে লর্ডস ফ্রেইট। সংস্থাটিতে মাহিন্দ্রা লজিস্টিক্সের ৮২% অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই ক্ষেত্রে নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার চার-পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, ফিরোজশাহ জানান। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: এই সময়
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments