এখন মোদী সরকার কৃষকদের ট্রাক্টর, থ্রেসার ইত্যাদি দামী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য কৃষি-যন্ত্রপাতি ভাড়া করার ব্যাপারে একটি সরকারি যোজনা বানিয়েছেন। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্যে কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলার জন্য ব্যবস্থাপনা শুরু কতে পারে। আসলে এই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যপ্রদেশে বিশাল সাফল্য পেয়েছে। এই বিষয়ের প্রতি নজর রেখে কেন্দ্রীয় সরকার একটি যোজনার মাধ্যমে সারাদেশে এই পদ্ধতি চালু করার চেষ্টা করতে চলেছে।
মধ্যপ্রদেশে এমন কাস্টম হায়ারিং সেন্টার রয়েছে প্রায় ১২০০ টিরও বেশী। এই সব কাস্টম হায়ারিং সেন্টার থেকে কৃষক খুব সহজেই কৃষি উপকরণ খুব সহজেই ভাড়া করতে পারে। সরকার থেকে এর একটি সার্ভে করা হয়, যেখানে জানা গেছে এই যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ভাড়া করলে কৃষকদের উৎপাদনব্যয় ৩৩% পর্যন্ত হ্রাস পায়, এবং এর সাথে সাথে ফসলের উৎপাদন ২৬% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এমনভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে সাথে কাস্টম হায়ারিং সেন্টার যারা চালাচ্ছে তাঁদেরও একটি সুনির্দিষ্ট উপার্জনের পথ খুলে যাচ্ছে, যা কিনা বৎসরে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা উপায় করতে পারছে। শুধু তাই নয় সাথে সাথে উনি কৃষকদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করছে।
আরও পড়ুন আবহাওয়ার অগ্রিম তথ্য পাওয়ার জন্য মৌসম ভবনের বৃহৎ চিন্তাভাবনা
কাস্টম হায়ারিং সেন্টারের ফলে মধ্যপ্রদেশ কৃষির এহেন উন্নতির ফলে মোদী সরকার এখন চাইছে এই ধরণের কাস্টম হায়ারিং সেন্টার অন্য রাজ্যেও তৈরি হোক। নীতি আয়োগ ও কৃষি-মন্ত্রালয় মিলে এখন এই রণনীতি বানাচ্ছে যে কোন কোন রাজ্যে এই ধরণের হায়ারিং সেন্টার খোলা যায়, কোন ধরণের কৃষকরা এই হায়ারিং সেন্টারের দ্বারা লাভবান হবে, কাস্টম হায়ারিং সেন্টারগুলি কতখানি কম দামে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে পারবে এই সব বিষয়সমূহ মাথায় রেখে সরকার বিভিন্ন ট্রাক্টর কোম্পানি, ও কৃষি-যন্ত্রপাতি সমূহের সংস্থাকে কৃষি যন্ত্র ও ট্রাক্টর সরবরাহের ব্যাপারে সমঝোতায় আসবে, এর সাথে সাথে কৃষকদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সস্তায় যাতে ঋণ প্রদান করা যায় সেই ব্যাপারটাও সরকার মাথায় রাখছে।
এই সস্তা ব্যাঙ্ক ঋণের মাধ্যমে কৃষকরা কাস্টম হায়ারিং সেন্টারের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রের ভাড়া প্রদান করতে সক্ষম হবে। এই ব্যবস্থাপনাটি যদি সত্যিই করা হয়ে থাকে তাহলে তা কৃষকদের ব্যয় ও উৎপাদন খরচ উভয়ই কমাতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয় এই উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার করার ফলে কৃষকদের আয়ের সম্ভাবনাও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবস্থার ফলে সেই সব কৃষকদের সাহায্য মিলবে যাদের এত বড় যন্ত্র কেনার মতো সামর্থ নেই।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments