
সম্প্রতি ৪ টি রাজ্য তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের সিস্ট তথা নিমাটোড আক্রমণ হয়েছে। তাই কোন মতেই এই ৪টি রাজ্য থেকে বীজ আলু আমদানী করা চলবে না। সিস্ট নিমাটোডের আক্রকণে আলু গাছ শুকিয়ে অতি দ্রুত মারা যায় ফলে চাষে ব্যপক ক্ষতি হয়। এই সিস্টের আক্রমণে এলাকার পর এলাকা আলু গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আলু গাছ একবার আক্রান্ত হলে এই সিস্ট নিমাটোড ২০ বছর পর্যন্ত মাটিতে সজীব থাকে যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে আলুতে এই নিমাটোডের আক্রমণ কোথাও পরিলক্ষিত হয়নি। তাই আলু চাষিদের এই চারটি রাজ্য থেকে আলু বীজ কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর ও কেন্দ্রীয় সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে আলু চাষ মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী, বর্ধমান, হাওড়াসহ পূর্ব মেদিনীপুরে হয়ে থাকে। এই সমস্ত এলাকায় মূলত জ্যোতি, কুফরী, চন্দ্রমূখী আলুর চাষ বেশি হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত আলু চাষের জন্য চাষিরা বীজআলু আমদানি করেন পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে। কিন্তু এই বছর কোন ভাবেই তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীর এই ৪টি রাজ্য থেকে বীজ আলু আনাতে পারবেন না কারণ ঐ ৪টি রাজ্যের বীজ আলুতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধু মাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাবের আলু বীজের ক্ষেত্রে। আলু চাষ এলাকার জেলা ও ব্লক গুলিতে রাজ্য কৃষি দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যই পৌঁছে গিয়েছে। কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকার আলুবীজ বিক্রেতারদের সাথে অলোচনা করা হয়েছে যাতে তারা এই সমস্ত আলুবীজ বিক্রি না করেন।
সিস্ট নিমাটোড আলুর একটি ভয়ঙ্কর রোগ। যে সমস্ত এলাকায় আলু এই রোগে আক্রান্ত হয়, সেই সমস্ত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফলনের ক্ষতি হয়। গতবছর এই ৪টি রাজ্যে (তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের) আলু চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই সমস্ত আলুবীজ এরাজ্যে এলে পশ্চিম বঙ্গের আলু চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
- রুনা নাথ
Share your comments