
অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও পোকার আক্রমণে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খারিফ শস্য যেমন তুলা, আখ, ও তৈলবীজের উৎপাদনে ঘাটতি পড়তে চলেছে। গুজরাট সরকার খারিফ শস্যের চাষ ও উৎপাদনের পূর্বানুমান হিসেবে ২০১৮-১৯ সালের আবাদিতে ঘাটতি ঘোষণা করেছেন।
গুজরাটে গতবছরের (২৬.২৪ লক্ষ হেক্টর) তুলনায় এই মরশুমে তুলো উৎপাদনের জমির পরিমাণ ( ২৭.০৯ লক্ষ হেক্টর) বৃদ্ধি পেয়েছে, তা সত্ত্বেও এই রাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭ সালে যেখানে ১০১.৮৭ লক্ষ বেল (১৭০ কেজি/বেল) তুলো উৎপাদিত হয়েছিলো সেখানে এবছর মাত্র ৮৮.২৮ লক্ষ বেল তুলো উৎপাদিত হচ্ছে।
এছাড়াও, আগের বছর উত্তম জাতের তুলোর তৈরী উৎপাদিত দ্রব্য যেখানে ৬৬০ কেজি তৈরি হয়, সেখানে এই মরশুমে উৎপাদন ১৬ শতাংশ কমে ৫৫৪ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। চীনেবাদাম উৎপাদনেও ঘাটতি হবার আশংকা করা হচ্ছে। আগের বছর যেখানে ২৩৬০ কেজি প্রতি হেক্টর বাদাম উৎপন্ন হয়েছিলো, সেখানে চলতি মরশুমে ১৮৩৬ কেজি প্রতি হেক্টর। যদিও এখনো কৃষকরা আশা ছাড়ছে না কারণ বৃষ্টির মরশুম এখনো শেষ হয়ে যায় নি, যদি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি কিছুটা কমে তাহলে হয়তো একটু ভালো উৎপাদনের আশা রয়েছে। কোটাক কমোডিটির ডিরেক্টর বিনয় কোটাক বলেছেন, “যদি আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে যেটুকু উৎপাদনের আশা ছিলো সেটুকুও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। যাইহোক, যদি এইকটি দিন মৌসুমি বায়ু একটু চালিয়ে খেলে, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি খুব খারাপের পর্যায়ে যাবে না”।
- প্রদীপ পাল
Share your comments