প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ই-গোপালা অ্যাপ্লিকেশনটি প্রচলন করার সময় পশু আধার কার্ড সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি বলেছিলেন, এই অ্যাপে পশু আধার কার্ড সংযোগকরণ হয়ে গেলে এর থেকে প্রাণী সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। পশু কেনা বেচা সহজ হবে। সরকারের উদ্যোগে দেশের সর্বত্র প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য একটি অনন্য পরিচয় নম্বর (আধার নম্বর) জারি করা হবে। এর সাহায্যে গবাদি পশুপালকরা সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ঘরে বসে তাদের পালিত পশু সম্পর্কে তথ্য পেতে সক্ষম হবেন। টিকাদান, উন্নত প্রজাতি, উন্নতকরণে কার্যক্রম, চিকিত্সা সহায়তা এবং অন্যান্য কাজ সহজেই এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
ভারতে প্রাণীসম্পদ সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কিত একটি ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। সরকার এর মাধ্যমে কৃষকদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় পশুপালন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী দেড় বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি গবাদি পশুকে তাদের জাত, উত্পাদনশীলতা এবং তাদের মালিক সম্পর্কে সনাক্তকরণ ইত্যাদি তথ্যের বিষয়ে ডেটা রাখার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একটি অনন্য আইডি (অ্যানিম্যাল ইউআইডি-পশু আধার) দেওয়া হবে। গরুর কানে 8 গ্রাম ওজনের একটি হলুদ ট্যাগ দেওয়া হবে। এই ট্যাগে একটি ১২ অঙ্কের আধার নম্বর মুদ্রিত হবে।
৪ কোটি গরু এবং মহিষের আধার কার্ড প্রস্তুত -
সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪ কোটি গরু ও মহিষের আধার কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশে ৩০ কোটিরও বেশি গরু রয়েছে। ধীরে ধীরে তাদেরও ট্যাগিং নম্বর প্রদান করা হবে। পরবর্তী পদক্ষেপে ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি প্রাণীর নম্বর তৈরি হবে। এই কার্ডে অনন্য নম্বর, মালিকের বিবরণ এবং প্রাণী টিকা এবং প্রজনন সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পশুপালন ও দুগ্ধ সচিব অতুল চতুর্বেদী জানিয়েছেন, কৃষকদের জন্য পশুপালন লাভজনক একটি ব্যবসা। দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশী। আমাদের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরে দুগ্ধ খাতে বর্তমান বাজার চাহিদা ১৫৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ২৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করা।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ভারত সরকার পশুপালন খাতকে উন্নীত করার দিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর একটি অংশ হ'ল এক বছরে এক বিলিয়ন এফএমডি (মাউথপাম্প-হুফ) ভ্যাকসিন দেওয়া। যাতে এটি নিশ্চিত করা যায় যে গবাদি পশুগুলি রোগমুক্ত থাকবে।
প্রাণীসম্পদের উন্নয়ন -
বিশতম প্রাণীসম্পদ আদমশুমারি অনুসারে, দেশে গবাদি পশু (মোট গরু সংখ্যা) ১৪৫.১২ মিলিয়ন। যা পূর্ববর্তী গণনা (২০১২) এর চেয়ে ১৮.০ শতাংশ বেশি। মোট পশুর সংখ্যা ৫৩৫.৭৮ মিলিয়ন,
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উত্পাদক দেশ। ২০১৮ সালে ১৭৬.৩ মিলিয়ন টন দুধ উত্পাদিত হয়েছিল। বিশ্বের মোট দুধ উৎপাদনের প্রায় ২০ শতাংশ ভারত থেকে হয়।-
জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের মতে, ২০১৮-১৯ সালে ভারতে প্রতিদিন জনপ্রতি দুধের সহজলভ্যতা ছিল ৩৯৪ গ্রাম। ভারতের মধ্যে হরিয়ানা সর্বাগ্রে রয়েছে যেখানে ব্যক্তি প্রতি গড় দুধ ১০৮৭ গ্রাম।
Image source - Google
Related link - (Kadaknath chicken farming) কড়কনাথ মুরগি চাষ করে আয় করুন লক্ষাধিক
(PMMSY) প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা- কর্মসংস্থান হবে ৫৫ লাখ মানুষের )
Share your comments