জৈব কৃষিপণ্যের বিক্রির উদ্যোগ শুরু হল শিলিগুড়িতেও। এই সাপ্তাহিক হাটে জৈব কৃষিপণ্য ছাড়া আর কোন কিছুর প্রবেশাধিকার থাকবে না। জৈব কৃষিপণ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি কোন কিছুরই ব্যবহার করা হয় না। গোবর সার, ভার্মি কম্পোস্ট, নিম বা সরষের খোল ইত্যাদির ব্যবহার হয় সার হিসাবে।
শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্যাম্পাসে বসবে এই সাপ্তাহিক হাট। রবিবার থেকে জমজমাট জৈব হাট শুরু হয়। এখানে রয়েছে সবুজ ফুলকপি, পাহাড়ি লঙ্কা, পাহাড়ি কুমড়ো থেকে শুরু করে কালো চাল, নানা ধরনের ডাল, হলুদ, এলাচ, মধু, আচার, এমনকি, সরষের তেলও।
কীটনাশক আর রাসায়নিক সার নিয়ে বিশ্ব জুড়ে উৎকণ্ঠার কারণে জৈব সারের ব্যবহার বাড়িয়ে অনেকেই বিকল্পের সন্ধান করছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ‘সেন্টার অব ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিম্যানেজমেন্ট’(কোফাম) ও হিমালয়ান অর্গানিক অ্যান্ড ন্যাচারাল নেটওয়ার্কের কয়েক হাজার চাষি এই হাটের উদ্যোক্তা। কেনাকেটার সাথে জৈব হাট গবেষণা ও পর্যটন সম্ভাবনাকেও বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
সমগ্র দেশই এখন জৈব উৎপাদনে আগ্রহী। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে জৈব উপায়ে উৎপন্ন সামগ্রী সেটা অনেকেরই অজানা। আবার যাঁরা জৈব চাষ করেন, তাঁরাও ক্রেতা খুঁজে পান না। এই হাট দুইয়ের মিলন ঘটাবে, হাট থেকে জৈব চাষে উৎসাহ পাবেন উৎপাদকরা। এই হাট জনপ্রিয় হলে সমস্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments