কৃষিজমির উর্বরা শক্তি বজায় রাখতে, ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত কৃষিপণ্যের গুনমান ও উৎপাদন বাড়াতে জৈব চাষের উপর এখন বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের আর্থিক ও কারিগরি সাহায্যও দেওয়া হচ্ছে। জৈব সারে জমির উর্বরতা ও জলধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস বৃদ্ধির জন্য গত ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ‘পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পে তিন বছরের মধ্যে ১০ হাজার ক্লাস্টার গড়ে ৫ লক্ষ একর জমিকে জৈব চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটির ৬০% খরচ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার বাকি ৪০% খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুরা , পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম ও আলিপুরদুয়ার জেলায় এই ক্লাস্টারগুলি গঠন করা হয়েছে। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকরা তিন বছরে প্রতি একরে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
জৈব চষের প্রথম তিন বছরে উৎপাদন কিছুটা কমে যেতে পারে বলে এর জন্য ক্ষতিপূরণ ছাড়াও জৈব কৃষি পণ্য বাজারে বিক্রির জন্য কৃষককে খরচ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি ক্লাস্টারের জন্য তিন বছরে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জৈব সার, জৈব কীটনাশক, কৃষি উপকরণ ও কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হবে কৃষকদের।
রাজ্য সরকার এখন গোবিন্দভোগ, তুলাইপাঞ্জি, কালো নুনিয়া ইত্যাদি সুগন্ধী ধান চাষে জোর দিয়েছে। বিদেশে এই সমস্ত চালের চাহিদা আছে। বিদেশে বিশেষ করে আমেরিকা, ইউরোপে কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জৈব পদ্ধতিতে চাষ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই জৈব চাষ রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকের আয়ও বাড়বে।
Share your comments