আজকের দিনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কেউ ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবার পরও যদি কেউ ক্ষেতে ফসল ফলানোর কাজে নিজেকে নিযুক্ত করে তাহলে মানুষ বলবে যে এ কি করছে এসব। আবার এটাও ঠিক যে পড়াশুনা করবার পর বা ডিগ্রী পাবার পর যে তাকে চাকরিই করতে হবে তাও নয়। এখনতো মডার্ন যুবকরা পড়াশুনা করার পর চাষবাস করে চাকরির থেকে বেশি পয়সা উপার্জন করছে। এখন দেশে এমন অনেক যুবক রয়েছে যারা পড়াশুনার পর চাকরির জায়গায় ক্ষেতি করে বেশি পয়সা রোজগার করছে। এবং সব থেকে মজার বিষয় হলো সেই যুবকরা সবাই জৈবিক উপায়ে চাষবাস করছে।
তিনি মাল্টিলেয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করে একি মরসুমে তিন থেকে চার রকমের ফসল উৎপাদন করছেন।এই পদ্ধতিতে ফসল চাষ করলে খরচ অনেক কম ও আয় তার তুলনায় চারগুণ বেশি হয়ে থাকে। তার এই পদ্ধতিকে দেশের বহু কৃষক পরখ করে দেখেছে এবং তারা অনেক আর্থিক লাভ পেয়েছে। আকাশ চৌরাশিয়া এখনও পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি কৃষক ও যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার বক্তব্য হলো দেশে এখন সবথেকে বেশি যেটি প্রয়োজন তা হলো জৈবিক চাষবাস। তার এই কার্যকারীতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বিজ্ঞান ভবনে নিউ ইন্ডিয়া ইয়ুথ এওয়ার্ড দ্বারা সম্মানিত করেছেন। আপনাদের জানার উদ্দেশ্যে বলছি যে আকাশ এখনও পর্যন্ত ১২ টি রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার পেয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাঠ চোকানোর পর গড়কোটার কেকরা গ্রামের নিবাসী দীপক চৌধুরী চাষবাস শুরু করে দিয়েছিলো। ইনি আইটি থেকে বি ই করার পর পরই চাষবাসকেই তাঁর জীবন ও জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছিলো। উনি বলেছেন করলা, মূলো, আমলকী, পেঁয়াজ ইত্যাদি সবজি তিনি মাল্টিলেয়ার পদ্ধতির মাধ্যমে শুরু করে সাফল্য পেয়েছেন। দীপক বলেছেন যে তিনি এই চাষবাস করার সিদ্ধান্তটি মা-বাবার সাথে থাকার জন্য বা তাদের সাহায্য করবার জন্যই বেছে নিয়েছেন। তিনি আর বলেন যে চাষের কাজে চাকরির মতো টেনশন নেই, আর অল্প পরিশ্রমে আমার আয় খুব ভালো হয়। এই চাষবাস থেকেই তিনি মাসে কুড়ি হাজার টাকা উপার্জন করেন তাই আমার কাছে এখন এটাই পেশা।
- প্রদীপ পাল
Share your comments