কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দেশ জুড়ে পালিত হতে চলেছে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ ।এই উৎসবে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু। নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। তিনি জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ পালন করা হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার উলিহাতু গ্রাম পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করবেন । ঐ গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিরসা মুন্ডা। সেখানে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
খুন্তি থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক এবং শক্তি মন্ত্রকের কয়েকটি প্রকল্প এবং বিদ্যালয়েরও উদ্ধোধন করবেন তিনি। ট্রাইফেড এবং এনআরএলএম-এর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের কাছে ঐদিন বক্তব্যও রাখবেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুনঃ মৎস্যজীবিদের প্রশিক্ষন দিতে অভিনব উদ্দ্যোগ নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের
অর্জুন মুন্ডা সাংবাদিকদের বলেন যে, জাতীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ১৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী বেশ কিছু কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং গুজরাট থেকে অরুণাচল প্রদেশ – দেশের প্রতিটি প্রান্তেই উদযাপিত হবে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’।
কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আদিবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করতে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে সম্মান জানাতে এবং আদিবাসী অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে ঐ দিনটি নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্র কেনার জন্য ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার
‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে জীবনধারণের প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে এবং তাঁদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধার প্রসারে এক বিশেষ সঙ্কল্প গ্রহণ করা হবে।
স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিকালে অর্থাৎ, আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এই সঙ্কল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ওই দিন শিক্ষা ও সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রক ও দপ্তরের পক্ষ থেকেও ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আয়োজন করা হবে সেমিনার, ওয়েবিনার, আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান ইত্যাদিকে ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
Share your comments