প্লাস্টিক ফুলের দাপটে চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এখন সরকারি ও বেসরকারি যে কোনও অনুষ্ঠানের মঞ্চ বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ডেকরেশনের কাজে প্লাস্টিক ফুল ব্যবহার করা হচ্ছে। গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা এবং রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ফুলের হুবহু নকল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। একটু দূর থেকে দেখলে আসল-নকল বোঝার প্রায় উপায় নেই। নকল ফুলের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসল ফুলের কদর অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর এর ফলেই রাজ্যের ফুল চাষিরা বেশ চিন্তিত।ফুল চাষিরা বলেন, দিন দিন ওই সমস্ত প্লাস্টিক ফুলের প্রসার বাড়ছে। যাঁরা অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানোর কাজ করছেন, তাঁরা এখন নকল ফুলের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। এতে তাঁদের সুবিধাই হচ্ছে। কারণ, প্লাস্টিক টেকসই হওয়ায় তাঁরা একবার নকল ফুল কিনে অনেক অনুষ্ঠানে সাজানোর কাজ করতে পারেন। এই কাজে খরচও কম। কিন্তু, এভাবে নকল ফুলের ব্যবহার বেড়ে গেলে আমরা সমস্যায় পড়ে যাব। ফুল চাষিদের দাবি, এর মধ্যেই চাষে প্রভাব পড়েছে। আগে কোনও অনুষ্ঠানে যেরকম ফুলের চাহিদা ছিল, এখন তা অনেকটাই জমি গিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁদের ফুলের দাম কমে যাবে। এমনিতেই অসময়ের বেল, জুঁই বা গোলাপ জলের দরে বিক্রি হয়। তারপরে প্লাস্টিক ফুলের রমরমা এভাবে চলতে থাকলে আরও অবস্থা খারাপ হবে।
ফুল চাষিরা বলছেন, নানা রংয়ের প্রায় সব ফুলেরই নকল বেরিয়ে গিয়েছে। দু-তিন বছর ধরে প্লাস্টিক ফুলের ব্যবহার খুবই বেড়ে গিয়েছে। এমনকী, নকল ফুলের পাশাপাশি প্লাস্টিক দিয়ে বিভিন্ন বাহারি পাতাও তৈরি হচ্ছে। সে কারণে যাঁরা বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছের চাষ করেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে, এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একেবারেই ফুলের ব্যবহার কমে গিয়েছে এমনটা নয়।
- Sushmita Kundu
Share your comments