পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রামীণ অঞ্চলে এক লক্ষ বাড়িঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে আর কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে পারি দিতে না হয়, তিনি তার চেষ্টা করবেন। তিনি রাজ্যে আরও শিল্প ও কর্ম সঙ্গস্থানের সৃষ্টি করবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, একটি প্রকল্পও তিনি প্রচলন করতে চলেছেন, যার মাধ্যমে রাজ্যের ৫০,০০০ একর অনুর্বর জমি মৎস্য চাষ, উদ্যান পালন, পশুপালন ও অন্যান্য কার্যক্রম প্রচার করে আয়-উত্পাদিত জমিতে রূপান্তরিত করা হবে। এছাড়াও সেচ সুবিধা উন্নয়নে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
তবে আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেও লকডাউন জারি রাখার সিদ্ধানে তিনি সহমত পোষণ করেছেন। বিগত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, তাঁর রাজ্যে লকডাউন অব্যাহত থাকবে ,তবে শিথিলকরণের দিকে মনোনিবেশ করবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তাঁর রাজ্যের রেড জোনগুলিকে রেড জোন এ, বি এবং সি -এই তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন। রেড জোন এ-তে থাকাকালীন কোনওভাবেই কোন শিথিলতা থাকবে না, রেড জোনের বি-তে কিছুটা শিথিলতা থাকবে এবং সি-তে আরও কিছুটা শিথিল হবে নিয়মকানুন।
তিনি আরও বলেছেন, ভাববেন না যে আমরা শীঘ্রই কোভিড -১৯ সংকট থেকে মুক্তি পাব। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের তিন মাসের স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা করা উচিত এবং এর সাথে তিনি দাবি করেন যে কেন্দ্র এখনও রাজ্যের 'বৈধ আর্থিক পাওনা' প্রেরণ করেনি।
স্বপ্নম সেন
Share your comments