ময়নাগুড়ি ব্লকের ১০ কিমি অদূরে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির হিসেবে জটিলেস্বর মন্দির সর্বজনবিদিত।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় এই মন্দির চত্ত্বরটিতে আলো,জল, একটি গেট দিয়ে ঘেরা দেওয়া থেকে শুরু করে দু একটি বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।এই মন্দিরটি লাগোয়া একটি প্রাচীন পুকর রয়েছে যা প্রায় ১২-১৫ বিঘার ।এখানে প্রাচীন গুপ্ত (320-600AD)আমলের কিছু প্রত্ন তাত্ত্বিক নিদর্শন মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল তার নিদর্শন এই মন্দির ও পুকুরটি।
এই মন্দির ও সংলগ্ন পুকুরটি আরকলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মাধমে সংরক্ষিত।এখানে প্রায় প্রতিদিন কিছু পর্যটকদের আনাগোনা হতেই থাকে।তবে শিব চতুর্দশী তে এখানে প্রচন্ড ভিড় হয়।মন্দির ও পুকুর চত্তর টি বেশ মনোরম পরিবেশে। এখন কিছু মানুষের এখানে পুজোর সামগ্রী বিক্রি করে বেশ ভালোই রোজগার হয়।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে একটি অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে গিয়েছে এর পুকুরটি তে যা শুধুমাত্র এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে তাই নয় পরিবেশ প্রেমীদের কাছে বিশেষ চিন্তার বিষয়।এই পুকুরে মাছ ধরার জন্য কোন এক ব্যক্তি এই পুকুরের জলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষতিকারক কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়েছেন যার ফলে পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত যে পদ্ম ফুলগুলি সেগুলি মরে যেতে বসেছে।শুধুমাত্র তাই নয় এই জলে বসবাসকারী মাছ ও অন্যান্য কীট পতঙ্গের যে ক্ষতি হবে সেটি বলাই বাহুল্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান যে, এই পুকুরে প্রচুর মাছ রয়েছে সেই মাছ বিক্রি করে কতিপয় মানুষ প্রচুর টাকা উপার্জন করেন যার একটা অংশ এখানে কমিটির সদস্যরা ভাগ পান এর লোভে তারা এই কাজ করেন। স্থানীয় সমাজসেবী শ্রী মনোজ রায় জানান, তিনি বিষয়টি পরিস্কার হিসেবে এখনো জানেন না,তবে যে পুকুরটি লীজে দেওয়া হয়ে থাকে মাছ চাষের জন্য। বি ডি ও দফতর থেকে তাই যাঁরা লীজে নিয়েছেন তাঁরা হয়তো মাছ ধরার জন্য এই কাজ করেছেন, তবে তারা "শুধু মাত্র পদ্ম ফুল গাছটি মারার জন্য এই কাজ করেছেন বলে ওনার মনে হয়। অন্যান্য মাছ বা অন্য পোকা মাকর মারার জন্য ওরা একাজ করবেন না"।
কিন্তু প্রশ্ন টা এখানে যে, এই সব মাছ বাজারজাত হবে এবং সেগুলি স্থানীয় মানুষেরাই কিনে খাবেন, এই কীটনাশক কি মাছের পেটে এবং শরীরের মাধ্যমে আবার মানুষের কাছে ফিরে আসবে না!!??
২৫ এপ্রিল,১০১৯, চূড়াভান্ডার, ময়নাগুড়ি, অমর জ্যোতি রায়(amarjyoti@krishijagran.com)
Share your comments