
নভেম্বরের মাঝামাঝি বিসি রায় শিশু হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক শিশুর। ওই অঞ্চলের আরও কিছু শিশুর স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়। মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে ওই অঞ্চলে জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে। শহরের বেসরকারি শিশু চিকিৎসা হাসপাতাল ‘ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ’ চলতি বছরে অন্তত ১২০ জন স্ক্রাব টাইফাসের রোগী পেয়েছে। যার মধ্যে গত ছ’মাসে কলকাতারই ৫ জন আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা হয়েছে এই হাসপাতালে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে শহরতলির রোগীদের সংখ্যা।কয়েক বছর আগেও মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলা থেকে স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্ত হত। কিন্তু এখন কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং কলকাতা থেকেও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।যা খুবই উদ্দ্বেগের।
কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলের স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তের বেড়ে চলা সংখ্যা দেখে আশঙ্কিত চিকিৎসকেরা। প্রায় সব জেলাতেই স্ক্রাব টাইফাস নির্ণায়ক পরীক্ষা চালু করার পথে রাজ্য সরকার। অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিন্ড্রোম নিয়ে আসা সমস্ত রোগীকে জাপানি এনকেফেলাইটিসের সঙ্গেই স্ক্রাব টাইফাসের টেস্ট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ১৩টি সরকারি কেন্দ্রকে।

ঝোপঝাড়, আবর্জনাবহুল এলাকায় বেড়ে ওঠা এক ধরনের মাকড়ের কামড় থেকে এই জ্বর হয়। মাকড়ের বাহক ইঁদুর ও কুকুর। প্রবল জ্বর, গায়ে ছেঁকা লাগার মতো দাগ এই রোগের ।ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে ভয়ের বিশেষ কারণ নেই। কিন্তু, চিকিৎসায় দেরি হলে মাল্টি-অরগ্যান ফেলিওর হয়ে আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই মাকড়ের কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে -
- ঝোপজঙ্গল থেকে দূরে থাকতে হবে।
- আশপাশের ইঁদুরের গর্ত বুজিয়ে দিতে হবে।
- শিশুদের হাত-পা ঢাকা পোশাক, বিশেষত, জুতো পরিয়ে রাখতে হবে।
- রাস্তার কুকুরের কাছাকাছি যাওয়া চলবে না।
- বহুতলেও মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে।
- জ্বর এলে শিশুর শরীরে কোনও ছেঁকার দাগ আছে কি না, দেখতে হবে, থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments