গত বছরের তুলনায় এবার চা রপ্তানি সামান্য বাড়াল ভারত। টি বোর্ডের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশ থেকে রপ্তানি করা হয়েছে ২০ কোটি ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কেজি চা। গত বছর ওই একই সময়ের নিরিখে ১৯ কোটি ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে এ দেশ থেকে। পরিমাণের নিরিখে বৃদ্ধির হার ১.১৭ শতাংশ।
এবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি করা চায়ের দাম প্রায় ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা। গত বছর যা ছিল ৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। তবে রপ্তানি সামান্য বাড়লেও অক্টোবরে চায়ের উৎপাদন সামান্য কমেছে। ওই মাসে চায়ের মোট উৎপাদন হয়েছিল ১৭ কোটি ৬৪ লক্ষ কেজি, যা গত বছরের ওই মাসের তুলনায় ৩.৭ শতাংশ কম।
উৎপাদন কম হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের নাম। এই দুই রাজ্যে চায়ের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই বছর আক্টোবর মাসে চয়ের উৎপাদন ছিল ৫ কোটি ৬ লক্ষ কেজি, যা গত বছর অক্টোবরে ছিল ৫ কোটি ৩৯ লক্ষ কেজি। এবার থেকে জৈব পদ্ধতিতে চা উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
চিন দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চা উৎপাদক এবং সবচেয়ে বেশি পরিমান চা আমদানি করে এই দেশ। চিনের আমদানি করা চায়ের ৩০ শতাংশ ভারতিয় চা। চা-এর ঔষধিয় গুণ প্রচার হওয়ার ফলে পানিয় হিসেবে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি উভয়ের জনপ্রিয়তা দুই দেশেই সমানভাবে বেড়েছে। চিনে গ্রিন টি বেশি উৎপন্ন হয় ও ভারতে ব্ল্যাক টি-এর পাশাপাশি আরো নানা ধরনের চা যেমন দার্জিলিং টি, আসাম টি ইত্যাদির উৎপাদন ও রপ্তানি হয়। ভারত চিনদেশ ছাড়াও ইউ এস এ, ইউ কে, ইউ এ ই, ইরান, পাকিস্তান ও ইজিপ্টে চা রপ্তানি করে।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments