ছোটবেলা থেকেই তার মাছের প্রতি টান, সবসময়ই চাইতো মাছ নিয়ে গবেষণা করতে, একসময় এই ভালোবাসা থেকেই নিজেকে সঁপেছিলেন বিজ্ঞানসম্মত মৎস্য চাষের প্রতি।
পিতাও ছিলেন একজন মস্ত মৎস্য গবেষক। অত্যাধিক মৎস্যপ্রিয়তার কারণে বাড়িতে বহু মানুষের সাথে বনিবনা হয় নি। শেষে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ঘর ছেড়ে বারাসত এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। শুধু মাছ নিয়ে এত বেশি মাখামাখি করতেন বলে আত্মীয়রাও ব্যাপারটা ভালো ভাবে নেন নি। কিন্তু সবার ভালোবাসা পেতে গিয়ে নিজের ভালোবাসার মৎস্য গবেষণাকে ছাড়তে পারেন নি। অতঃপর ডঃ বিজয় কালি মহাপাত্রের যোগ্য ছাত্র হিসেবেই নিজের অদম্য ইচ্ছা ও কঠিন অধ্যাবসায়কে মূলধন করে মৎস্য গবেষণায় শ্রী দিপান বিশ্বাস নিজেকে নিয়োজিত করলেন ও পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে গরীব মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষে পুনরুজ্জীবিত করার কাজে ব্রতী হলেন। তিনি জলজপালন সংক্রান্ত বহু কাজ করেছেন, বাক্সে কাঁকড়া চাষ, চিংড়ি চাষ, দেশী শিঙি মাছের চাষ ইত্যাদি লাভজনক মৎস্য চাষে চাষিদের উৎসাহিত করে চলেছেন। মাছচাষ সংক্রান্ত সবধরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বহুসংখ্যক চাষিকে উৎসাহিত করতে সমর্থ হয়েছেন। বিগত ৯/৭/২০১৮ তারিখে ন্যাশানাল ফিস ফারমারস ডে তে মুম্বাইয়ে ন্যাশানাল ফিস ফার্মাস এ্যাসোসিয়েশন থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
- প্রদীপ পাল
Share your comments