
২০১৮-১৯ সালে রবি উৎপাদনের প্রথম হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় বাল্ক হ্যান্ডলিং কর্পোরেশন (এনবিএইচসি)-এর মতে- রবি শস্যের উৎপাদন ৯.৯১ শতাংশ হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে চানা ও ডালশস্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। গবেষণা অনুযায়ী, অপ্রতুল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০১৮-১৯ সালে মোট রবি শস্যের উৎপাদন ৯.৯১ শতাংশ হারে কমে ১১৫.৪৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং গম থেকে ৪.৯৯ শতাংশ হারে কমে ৯৪.৭২ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে অক্টোবর ও ডিসেম্বরের মধ্যে বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে নিচে ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের সামগ্রিক বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় ৪৪ শতাংশ কম। দেশের চারটি বিস্তৃত ভৌগোলিক বিভাগের মধ্যে বৃষ্টিপাতের অনুপাত এই সময়ে, কেন্দ্রীয় ভারত ও পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫১ শতাংশ, উত্তর পশ্চিম ভারতে ৪৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ উপদ্বীপে ৩৬ শতাংশ স্বাভাবিকের থেকে কম ছিল।এর সাথে কিছু অংশে খরার কারণে রবি ফসলের বপন প্রভাবিত হয়েছে ।মহারাষ্ট্রে মারাঠাওয়াদা অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ কম। উত্তর কর্ণাটকে ঘাটতি প্রায় ২৯ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রের রয়্যালসেমা অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে 37 শতাংশ কম।মহারাষ্ট্রের বিদর্ভতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে ৮৮% কম হয়েছে, যা রাজ্যে সর্বোচ্চ। একইভাবে খরা কবলিত অঞ্চল মারাঠওয়াতে ৮৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মহারাষ্ট্রে ৬৪ শতাংশ, কঙ্কণ ও গোয়াতে ৫৬ শতাংশ বৃষ্টিপাতের অভাব রয়েছে। এনবিএইচসি অনুসারে, রবি ধানের চাষ ১৪.১৭ শতাংশ কম এবং তার উৎপাদন ২৮.৯১ শতাংশ হারে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।প্রধান উৎপাদনকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে রবি ধানের বপন ব্যাহত হয়েছে। জোয়ারের বপনে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে, প্রায় ২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর যা গত বছরের তুলনায় ১৮.৮২ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। যবের বপন ২.৬২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এনবিএইচসির অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল ডালশস্য, বিশেষ করে চানা। খরার জন্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মতো রাজ্যে চানার বপন কম হয়েছে।
চানার বপন গত বছরের ১০.৭৬ মিলিয়ন হেক্টর থেকে ৯.৯২ শতাংশ কমে ৯.৭০ মিলিয়ন হেক্টরে হ্রাস পেয়েছে। মুসুর ডালের উৎপাদন ১.৭৬ শতাংশ হারে কমে ১.৭১ মিলিয়ন টন হবে যা আগের বছরের ১.৭৪ মিলিয়ন টনের তুলনায় কম।তবে,তৈলবীজগুলি একমাত্র ফসল যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গত বছরের স্তর বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।রাজস্থানে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তৈলবীজের বপন ৮.০৪ মিলিয়ন হেক্টর হয়েছে যা আগের বারের থেকে ০.৭১ শতাংশ বেশী। সরিষার চাষে ৫.০৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.০২ মিলিয়ন হেক্টর ও একইভাবে উৎপাদন ৪.৪৬ শতাংশ বেড়ে ৮.৬৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments