কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রাধামোহন সিং বুধবার উজবেকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্টেট ইনভেস্টমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মি. সুহরব খোলমুরাডোভ এর সঙ্গে দেখা করলেন। কৃষি ও সংলগ্ন শিল্পের ক্ষেত্রে ভারতের উজবেকিস্তানের সাথে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষিভবনে উজবেকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী সামনে তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভারতের উন্নতির কথা তুলে ধরেন সাথে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা ও সংশোধনের কথা বলেন। মাটির স্বাস্থ্য কার্ড, জৈব কৃষি, ফসল বিমা, জলসেচ, e-NAM ইত্যাদি বিষয়গুলির সংশোধনের মাধ্যমে ভারতের কৃষিক্ষেত্রে আগামী দিনের সাফল্য নির্ভর করবে বলে জানান। তিনি ভারতের কৃষিক্ষেত্রকে বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থলগ্নির অঞ্চল বলে মনে করেন। শ্রী রাধামোহন সিং এর কথায় “আমরা উজবেকিস্তানের সাথে কাজ করতে তৈরী। স্কিল ডেভেলপমেন্ট, হাতে কলমে শিক্ষা, শুখা অঞ্চলে জলের পুর্নব্যবহার, সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, কৃষিযন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা আমরা ভাগ করে নিতে পারি।” ভারত উজবেকিস্তান-কে সেন্টার অফ্ এক্সেলেন্সের মাধ্যমে গ্রীন হাউস তৈরীর পদ্ধতি শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারে বলে তিনি জানান। ভারত এই মুহূর্তে মুগডাল, রজন, ওয়ালনাট, জুস ইত্যাদি আমদানী করে উজবেকিস্তান থেকে। কৃষিমন্ত্রী মি. সুহরব এর কাছে আবেদন করেন ভারত থেকে আম, আলু, গম, চিনি ইত্যাদি আমদানী করার জন্য। ছোট ও প্রান্তিক চাষীদের জন্য কৃষিক্ষেত্র তৈরী করা ও ভারতের FPO ও সমবায়ের মাধ্যমে কৃষক উন্নতির অভিজ্ঞতা উজবেকিস্তানের ব্যবহার করতে পারে। প্ল্যান্ট কোয়ারান্টাইনের উপর দুই দেশের একসাথে কাজ করার পুনরায় সম্মতিপত্র ভারত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে তিনি উজবেক উপপ্রধান মন্ত্রী কে জানান। দুই দেশের সরকারী কৃষি-সংস্থা, কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী ও কৃষি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা ও সংযোগ স্থাপন জরুরী বলে মনে করেন তিনি। এরই সাথে পশুপালন শিল্পেও দুই দেশের একসাথে কাজ করা উচিত বলে জানান ও উজবেকিস্তানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments