
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন মিলেছে অমৃতসর-ডানকুনি ফ্রেট করিডরের আওতায় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে প্রায় ২ হাজার একর জমিতে শিল্পতালুক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক) তৈরি করার। এই পার্ক তৈরির কাজ শেষ হলে রাজ্যের শিল্পচিত্রে নানাভাবে শিল্প সম্ভাবনা বাড়বে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী শ্রী অমিত মিত্র। এর আগে দিল্লি-মুম্বই ফ্রেট করিডরের আওতায় এরকম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হয়েছে। অমিতবাবু আরও জানান, প্রায় দু’বছর আগেই রঘুনাথপুরে এই জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। রেল করিডরকে ব্যবহার করে গড়ে উঠবে এই শিল্পতালুক। গড়ে উঠবে অসংখ্য কারখানা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে অসংখ্য শিল্প গড়ে উঠবে। রেললাইনে পণ্য ও কাঁচামাল এসে সরাসরি ঢুকে যাবে এই শিল্পতালুকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই অমৃতসর-ডানকুনি ফ্রেট করিডরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় যদি এই সিদ্ধান্ত না নেওয়া হতো, তাহলে দেশের পূর্ব অংশে এত বড় শিল্পতালুক গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হতো না। এর পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে খবর, মালদহ ফুডপার্কে গুজরাটের একটি সংস্থা ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ভুট্টা থেকে স্টার্চ তৈরি করবে তারা। এতে প্রায় ৫০০০ চাষি উপকৃত হবেন। এই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পতালুকে পেপসি সংস্থা আরও ২৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। আলু প্রক্রিয়াকরণ করে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বানাবে তারা। এর ফলে আরও এক হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।
শুধুমাত্র প্লাস্টিক ও পলিমারের জন্য বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে ২০ একর জমিতে রাজ্যের তৃতীয় পলিমার হাব গড়ে তোলা হবে। হাওড়ার সাঁকারাইল এবং বড়জোড়াতে যে পলিমার হাব রয়েছে, তা বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগীর অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই আগামী দিনে প্লাস্টিকশিল্পে লগ্নিকারীদের জন্য বড়জোড়ার ২০ একর জমিতে এই হাব তৈরি হবে। শিলিগুড়িতে আরও একটি এরকম হাব তৈরির পরিকল্পনা আছে। গুজরাটের আরও একটি সংস্থা প্লাস্টিক শিল্পে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্মতি জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
- রুনা নাথ
Share your comments