
দেশ লকডাউনের পর থেকে প্রায় দু’মাস পর খুলতে চলেছে রেলপথ। রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে জানা গেছে, ভারতীয় রেলপথ আগামীকাল (১২ ই মে ২০২০) পর্যায়ক্রমে যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার ফলে যারা অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন, তারা এবার নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে পারবেন। ট্রান্সপোর্টাররা সোমবার বিকেল ৪ টে থেকে অনলাইনে টিকিট বুকিং শুরু করতে পারবেন, ভারতীয় রেল ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরটিসি) এর সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে।
কীভাবে আপনার রেল টিকিট বুক করবেন?
টিকিট বুকিং আজ ১১ ই মে ২০২০, বিকেল ৪ টা থেকে করা যাবে। এই বিশেষ ট্রেনগুলিতে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক যাত্রীরা কেবল আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট https://www.irctc.co.in/ বা মোবাইল অ্যাপে টিকিট বুক করতে পারবেন। মনে রাখবেন টিকিট এজেন্টের মাধ্যমে (আইআরসিটিসি বা রেলওয়ে) বুক করা যাবে না। সমস্ত স্টেশনের কাউন্টারগুলি বন্ধ থাকবে।

ট্রেন চলাচলের পথ –
মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত 'বিশেষ ট্রেন' ১৫ জোড়া - মোট ৩০ টি ট্রেন নয়াদিল্লি এবং মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সহ ১৫ টি বড় শহরগুলির মধ্যে চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলি নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে সংযোগকারী রেলপথে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকান্দারবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুবনন্তপুরম, মাদগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আহমেদাবাদ এবং জম্মু তাওই-এ বিশেষ ট্রেন হিসাবে চালানো হবে।
ভারতীয় রেলের সহযোগিতায় মার্চ মাস থেকে ২০,০০০ এরও বেশি ট্রেনের কোচ কোভিড -১৯ –এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে এবং আরও কয়েক হাজার ট্রেনকে শ্রমিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে, যাতে আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানো যায়। এই পরিষেবা বর্তমান নিয়মশৃঙ্খলা অনুযায়ী এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুরোধে চলবে।
এখন অবধি, রেলপথ ১ লা মে থেকে ৩৬৬ টি "শ্রমিক" ট্রেন চালানোর মাধ্যমে, প্রায় চার লক্ষ অভিবাসীকে তাদের নিজ রাজ্যে ফিরতে সহায়তা করেছে।

রেলওয়ের নির্দেশিকা –
রেলওয়ে আগামীকাল থেকে ট্রেন চলাচলের জন্য কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে-
- নিশ্চিত ও বৈধ টিকিট প্রাপ্ত যাত্রীদেরই একমাত্র দিল্লী স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
- এই ৩০ টি বিশেষ পরিষেবা প্রদানকারী ট্রেনের সমস্ত যাত্রীদের মুখে মাস্ক পরা এবং প্রস্থানের সময় তাদের স্ক্রিনিং করা বাধ্যতামূলক করা হবে।
- বিশেষ ট্রেনে যাত্রীদের (শিক্ষার্থী / প্রবীণ নাগরিক) কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
- তৎকাল এবং প্রিমিয়াম তৎকাল টিকিটের কোনও ব্যবস্থা নেই।
- টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে অনলাইন বাতিলকরণের অনুমতি প্রযোজ্য ট্রেন ছাড়ার সময় থেকে ২৪ ঘন্টা আগে পর্যন্ত। বাতিল চার্জ ৫০%।
স্বপ্নম সেন
Share your comments