
পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, ত্রিপুরায় মোট ১৫ টি জলাধারের জল ধারণ ক্ষমতা ১৮.৮৩ ব্যাঙ্ক কিউবিক মিটার কিন্তু বৃষ্টি কম হওয়ায় সেগুলিতে বর্তমানে মোট জলের পরিমান ১২.৩১ ব্যাঙ্ক কিউবিক মিটার অর্থাৎ জলধারণ ক্ষমতার ৬৫% জল। ২০১৭ সালের এই সময় জলধারণ ক্ষমতা ৭৫% জল ছিল। তাই এই বছর সেচের জল দেওয়া যাচ্ছে না কারণ সেচের জল দিলে পানীয় ও শিল্পের জন্য বরাদ্দ জলের সমস্যা হতে পারে।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাব-মার্সিবল পাম্পের সাহায্যে জলতোলার অনুমতির সাথে যাতে কম জল লাগে তাই স্প্রিংকলার যন্ত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকার থেকে। এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সাব-মার্সিবল পাম্পের সাহায্যে জল তোলা যাবে কিনা সে ব্যপারেও সন্দেহ রয়েছে। আর ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত ব্যবহারে বোরো ধানে আর্সেনিক দূষণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জল ধরো জল ভরো কর্মসূচিতে যে সমস্ত পুকুর কাটা হয়েছে, সেখান থেকেও সেচের জলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চাষিদেরও পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যে সমস্ত ফসলে কম জলের প্রয়োজন যেমন ডালশস্য, তৈল বীজের চাষে এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্সের আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রদেয় নথিপত্রের তালিকা
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা বোরো ধান চাষ করেন তাদের বাড়ির সারা বছরের চাল মজুত করার জন্য। তাই বোরো ধান চাষ ছেড়ে বিকল্প ডালশস্য বা তৈল বীজের চাষে তারা তেমন আগ্রহ দেখান না। আর যেহেতু ধান ও গম চাষে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হয় তাই এই দুটি শস্যের দিকে কৃষকদের ঝোঁক বেশি। শাক-সবজি বা ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হয় না তাই এগুলির চাষ ব্যপক আকারে চাষ হয় না। শাক-সবজি, ফল-ফুল হল পচনশীল পণ্য তাই সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত হিমঘরের প্রয়োজন।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments