সুরের জগতে ছন্দপতন। আলবিদা কেকে। যে গান দিয়ে ডেবিউ করেন সেই গান দিয়েই শেষ করলেন এই জীবনের শেষ পারফরম্যান্স। কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতই লাট খেতে খেতে যেন বলে গেলেন জিন্দেগি দো পলকি। গান দিয়েই শুরু আবার গান দিয়েই শেষ। শিল্পীদের মৃত্যু বোধহয় এমনই হয়। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুদিন কলকাতার দুটি কলেজে অনুষ্ঠান করেন কেকে। আর তারপরই রাতে অনুষ্ঠান সেরে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন কেকে।
তবে গায়কের এই আকস্মিক মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অসুস্থতা, ম্যানেজিং টিমের গাফিলতি নাকি রয়েছে অন্য রহস্য সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। নিউমার্কেট থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। এই মামলা দায়ের এর পক্ষে সম্মতি দিয়েছে কেকে-র পরিবার। বর্তমানে সিএমআরআই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে শিল্পীর দেহ। সেখান থেকে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে ময়না তদন্তের জন্য। সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের একটি সংবাদ অনুযায়ী কেকে র মুখে এবং ঠোঁটে নাকি দেখা গেছে আঘাতের চিহ্ন। তবে পরিবারের অসম্মতির জন্য সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই সংবাদেও নিশ্চয়তা দেওয়া যায়না। খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ এভারেস্ট জয়ের পর লোৎসে! ঋণের পাহাড় নিয়ে দুই শৃঙ্গ জয় চন্দননগরের পিয়ালির
এছাড়াও সংবাদসুত্রে খবর গতকাল অনুষ্ঠান চলাকালিন অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের মাঝে বিরতি নিতে গিয়েছিলেন ব্যাক স্টেজে। বার বার স্পট লাইট বন্ধ করতে বলছিলেন তিনি। গতকাল যে স্থানে অনুষ্ঠান চলছিল সেখানে ভিড় হয় দ্বিগুনের বেশি। অনুষ্ঠানের ম্যানেজম্যান টিম জানায় বহু বাড়তি মানুষ ঢুকে পড়েছিলেন অনুষ্ঠান দেখতে। এছাড়াও নজরুল মঞ্চের এক কর্মী জানান এসি কাজ করছিল না গতকাল। এমনকি সেই ব্যপারে অভিযোগ জানায় খোদ কেকে। বার বার ঘাম মুছছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষের পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভক্তদের সঙ্গে ছবিও তোলেননি তিনি। বলেন পরের বার এসে তুলবেন। এরপর হোটেলে ফিরে যান তিনি। হোটেলে ফিরে বমি করেন এবং মুখ থুবড়ে পড়ে যান তিনি। তারপরই নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটালে। প্রাথমিক অনুমান ম্যাসিভ অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে আসল সত্য।
আরও পড়ুনঃ “কৃষকরা, জমিতে ইউরিয়া ব্যবহার এড়িয়ে চলুন” প্রধানমন্ত্রী
প্রতিভাবান শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা দেশে। মঙ্গলবার গভীর রাতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী Krishnakumar Kunnath প্রয়াত। তাঁকে সকলে কেকে হিসেবে চিনতেন। শিল্পীর প্রয়াণে আমার হৃদয় বিদীর্ণ। তাঁর গানের সুর সমস্ত প্রজন্মের মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর গানের মাধ্যমেই আমরা সকলে তাঁকে স্মরণ করব মনে রাখব। কেকের পরিবার, পরিজন এবং ভক্তদের সমব্যথী আমি। ওঁ শান্তি।"
Share your comments