
ছত্তিশগড় রাজ্যের জগদ্দলপুরে উৎপাদিত চালের এমন একটি ধরণ পাওয়া গেছে যা কিনা সম্পূর্ণ মাত্রায় শর্করাহীন অর্থাৎ ডায়াবেটিক রোগীরাও এখন সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হয়ে এই চালের ভাত খেতে পারবেন। আসলে এই রাজ্যে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বৈজ্ঞানিক এই নতুন ধরণের ধানের আবিষ্কার করেছেন। এই নতুন ভ্যারাইটির নাম দেওয়া হয়েছে মধুরাজ-৫৫।
কীভাবে এই ধান রোগীদের সুস্বাস্থ্যে সহায়তা করবেঃ
বলে রাখা ভালো যে বিজ্ঞানীরা বিগত সাত থেকে আট বৎসর এই শর্করা বিহীন ধান উৎপাদনের পরীক্ষানিরীক্ষায় মগ্ন ছিলেন। বিজ্ঞানীদের এই এত বৎসরের পরিশ্রমের ফলাফল আজ মিলতে চলেছে, তাঁরা আজ তাঁদের গবেষণা যে সফল হয়েছে তা বুঝতে পারছেন। এইপ্রকার ধানের একটি প্রজাতি হল চেপ্টি গুরমিটিয়া ধানের উপর বৈজ্ঞানিকরা তাঁদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন এবং এই চালকেই আরও উন্নত ব্রিডিং দিয়ে তাঁরা শর্করা বিহীন চাল উৎপাদনে সমর্থ হয়েছেন। এই ধানের সফল ফসল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তা সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। জগদল পুর কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা এই ধান্যবীজ পেয়েছিলো ২০১৭ সালে এবং তাঁরা ২৫০০ বর্গফুটের জমিতে এর ক্ষেত করেছেন, এবং উচ্চফলনশীল এই ধানের খুব সুন্দর উৎপাদন হয়েছে এবং কৃষকদের তাঁরা এই ধান চাষের পরামর্শ দিয়েছেন কারণ এই ধানের দাম সাধারণ ধানের তুলনায় অনেক বেশী এবং কৃষকদের পক্ষে তা খুবই লাভজনক হবে।
কৃষকদের লাভ হচ্ছেঃ
কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে যদি নিয়মমাফিক এই ধানের চাষ করা যায় তাহলে কৃষক প্রতি হেক্টর জমি থেকে ২৮ থেকে ৩০ ক্যুইন্ট্যাল পর্যন্ত উৎপাদন পেতে পারে, কারণ চেপ্টি গুরমুটিয়া ধানের যে বীজের আবিষ্কার তাঁরা করেছেন তা খুবই উচ্চফলনশীল। কৃষি বিভাগের উপকার্যকারী সভাপতি বলেছেন যে চেপ্টি গুরমুটিয়া ধান যখন আগে কৃষকরা চাষ করতো তখন তাঁদের উৎপাদন এতবেশী উৎপাদন ছিলো না, তাছাড়া চাষের খরচ অনেক বেশী ও দীর্ঘসূত্রী হওয়ার কারণে কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো, কিন্তু এখন উন্নত ক্রশবিটের কারণে এই চালের উৎপাদন অনেক হয়েছে। এখন কৃষকরা খুব ভালো উৎপাদনের সাথে সাথে প্রচুর লাভও করছে, এবং বিজ্ঞানীদের সাথে কৃষকদের প্রায়শয়ই কথাবার্তা আদান প্রদানের ফলে এই ধানের উৎপাদনের রোগভোগ সম্পর্কে কৃষকরা অনেক বেশি সচেতনতা অবলম্বন করে চলছে, ফলে ক্ষতির মাত্রা পূর্বের তুলনায় অনেক কম।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments