২৪ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রথম লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, যার স্থায়িত্বকাল ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর লকডাউন বাড়িয়ে তা ৩ রা মে পর্যন্ত করা হয়।
কিন্তু আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সর্বশেষ আদেশে বলা হয়েছে যে স্কুল, কলেজ এবং গণ পরিবহন ব্যবস্থা- ট্রেন, বিমান ও মেট্রো পরিষেবা আগামী দুই সপ্তাহ সারাদেশে স্থগিত থাকবে। সাথে হোটেল, রেস্তোঁরা, জিম, সিনেমা হল এবং শপিংমল ও সমস্ত উপাসনালয় আগামী দু'সপ্তাহ বন্ধ থাকবে।
লকডাউন ৩.০ সময়কালে অরেঞ্জ এবং গ্রীণ জোনে পড়া জেলাগুলিতে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও দেশের রেড জোনগুলিতে কোন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় বা অনুমোদন মিলবে না। দিল্লী, মুম্বাই, পুনে, আহমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, লখনউ, ইন্দোর এবং জয়পুর সহ বড় বড় শহরগুলি রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত। উত্তর প্রদেশে ১৯ টি জেলা রেড জোনের আওতায় পড়েছে।
আজ জারি করা নতুন নির্দেশিকাগুলির আওতায় যে যে ব্যবস্থা স্থগিত থাকবে -
- বিমান, রেল, মেট্রো অর্থাৎ গণ পরিবহন ব্যবস্থা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় ভ্রমণ।
- স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কোচিং ।
- হোটেল এবং রেস্তোঁরা সহ অতিথিশালা।
- সিনেমা হল, শপিং মল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মতো বড় বড় সমাবেশের স্থান।
- সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ধরণের সমাবেশ।
- জনসাধারণের জন্য ধর্মীয় স্থান, উপাসনা স্থান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যক্তি চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে। সমস্ত অঞ্চলে, ৬৫বছরের বেশি বয়সী, সুস্থ/অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিশেষভাবে সতর্কতার সাথে বাড়িতে থাকা উচিৎ।
রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রীণ জোনগুলিতে সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী এবং অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে ওপিডি এবং মেডিকেল ক্লিনিকগুলি পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে কোন বিশেষ অনুমতি দেওয়া হবে না।
তবে সর্বত্রই সমস্তরকমের কৃষি কার্যক্রম - বপন, ফসল সংগ্রহ, সংগ্রহ ও বিপণন কার্যক্রম কৃষি সরবরাহ অনুমোদিত।
স্বপ্নম সেন
Share your comments