
ভারতের এই রাজ্যের সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই যে আগামী চারমাসের ভেতরে সরকার ১০০০ গোশালা খুলবেন। এইসব গোশালা গুলিতে নিরাশ্রিত গবাদিপশুদের দেখাশুনা হয় এতে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে, এর জন্য ৪৫০ কোটি টাকা সরকারী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১০০ কোটি টাকা এই গোশালা নির্মাণে কাজে লাগবে, প্রতি ৮টি থেকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে গোশালা নির্মাণ হবে। প্রতিদিন ১টি গরু পিছু ২০টাকা করে ভর্তুকি প্রদান করা, এই রাজ্যের পশুপালন বিভাগ সরকারী নির্দেশ পাওয়া মাত্রই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এককথায় বলতে গেলে মধ্যপ্রদেশে এখনো পর্যন্ত কোনো রাজ্য সরকারী গোশালা খোলা হয়নি, বর্তমানে এই রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী কমলনাথ তাঁর নির্বাচন প্রতিজ্ঞা পূরণ করার জন্য সরকারী গোশালা খোলার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি রাজ্যের পশুপালন দপ্তরকে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে কমলনাথ বলেছেন যে প্রোজেক্ট গোশালাকে “গ্রামীণ বিকাশ বিভাগ”-এর আওতায় রাখা হবে, এই গোশালার পরিচর্যা নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত, সমবায় সমিতি এবং জেলা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হবে।
বলে রাখা ভালো, মূখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নিজের সংস্থার সাথেও এই সরকারী পরিযোজনাকে জুড়তে আগ্রহী। তিনি আগ্রহী মানুষদেরও এই গোশালার দায়িত্ব অর্পণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই প্রোজেক্ট গোশালায় গ্রাম ও শহরের রাস্তায় যেসব নিরাশ্রিত গরু রয়েছে তাদের পরিচর্যা করবেন এবং যারা এইসব গরুদের খুঁজে দেবে তাদেরও পুরস্কার দেবেন, এতে গরুদের একটি ঠিকঠাক আশ্রয় মিলবে তার সাথে গ্রামীণ রোজগারের একটি উপায় খুলে যাবে।
চার মাসের মধ্যে এই প্রোজেক্ট অনেক বেশী মানুষের সাড়া মিলবে বলে মূখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস।
এই বৈঠকে বলা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে ৬১৪টি স্বনির্ভর গোশালা রয়েছে যা এক মালিকানায় পরিচালিত হয়। এখনও পর্যন্ত সরকারী কোনো গোশালা মধ্যপ্রদেশে নির্মিত হয়নি। এর সাথে বলা হয়েছে প্রতিটি জেলার কালেক্টররা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের গোশালার পরিচালনার জন্য জেলা স্তরীয় সমিতি গঠন করবে। গোশালায় থেকে উপার্জিত অর্থ রাজ্য সরকারী খাজানায় আসবে। গোশালায় শেড, টিউবওয়েল, গোখাদ্যের পাত্র, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট ইত্যাদি বিষয়গুলি সরকারী অর্থে নির্মিত হবে, এর জন্য বিভিন্ন পঞ্চায়েত, মনরেগা, এম পি – এম এল এ ফান্ড থেকে অর্থসংগ্রহীত হবে। জেলা সমিতিগুলি গোশালা নির্মাণের জন্য জায়গা নির্বাচন করবেন।
এই বৈঠক মধ্যপ্রদেশের পশুপালন মন্ত্রী লক্ষণ সিংযাদব, কৃষিমন্ত্রী সচিন যাদব, রাজস্ব মন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুত, পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী কমলেশ্বর প্যাটেল, মূখ্য সচিব এস.আর.মোহন্তী ও পশুপালন বিভাগের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments