
ট্রাউট মাছ
উত্তরাখন্ডতে চমোলী জেলার সাথে সাথে এই রাজ্যের বিভিন্ন পাহাড়ি জেলাগুলোতে ট্রাউট মাছের চাষের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এখানে উৎপাদিত মাছের চারাকে প্রস্তুত করে তা বিভিন্ন রাজ্যের মৎস্য চাষীদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যের বিভিন্ন স্বনির্ভর সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই মাছ চাষ করে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতি কিলো হিসেবে বাজারজাত করে প্রচুর লাভের আশা দেখা গেছে। ট্রাউট মাছ যেহেতু পরিষ্কার জলের মাছ তাই এই রাজ্যের অলকানন্দা, পিন্ডর সহ আরও কয়েকটি বরফ গলা জলে পুষ্ট নদীর প্রবাহপথে ৩২ টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে এই মাছের উৎপাদন ও চাষ করা সম্ভব।
ট্রাউট মাছের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে
ট্রাউট প্রজনন কেন্দ্রের একজন মাছচাষী শ্রী জগদীশ সিংহের কথা অনুসারে, নীল ক্রান্তি মিশনের যোজনায় থাকার কারণে ট্রাউট মাছের বীজ বা চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে ট্রাউট মাছের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে, উত্তরকাশী, টেহরী, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলী সহ উত্তরাখন্ডের মোট সাতটি জেলায় মাছচাষীদের এই মাছের চারা প্রদান করা হবে। এই সম্পর্কে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য যে ট্রাউটের চারা উৎপাদনের একমাত্র উপযুক্ত ক্ষেত্র হলো উত্তরাখন্ডের চামোলী জেলা, এর কারণ এইখানকার আবহাওয়ায় ট্রাউটের উৎপাদন খুব বেশী, এর ফলে চামোলী এবং তার আশেপাশের জেলাগুলিতে ট্রাউট চাষের জন্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
মৎস্যপালনের জন্য নতুন সরকারি নীতি গ্রহণ করা হবে খুব শীঘ্রই
এই রাজ্যের মৎস্য বিভাগের কথা অনুযায়ী রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তের মৎস্য পালকদের উৎসাহিত করবার জন্য এবং মৎস্য চাষ বাড়ানোর জন্য একটি নতুন মৎস্য পালন সরকারি নীতি গ্রহণ করা হবে। এই নীতির সহায়তার পর্যটন শিল্পের সাথে সাথে মৎস্য চাষের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে অত্যন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এইভাবে পরিকল্পনামাফিক এগোলে কৃষকদের আয় খুব তাড়াতাড়ি বাড়ানো সম্ভব হবে। অন্য মাছের বাজারমূল্যের তুলনায় ট্রাউটের বাজার মূল্য অনেক বেশী। তাই ট্রাউটের চাষ বাড়লে সেক্ষেত্রে পাহাড়ি জেলাগুলিতে সাধারণ চাষীদের আয় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এক্ষেত্রে এটা বলা খুবই সহজ যে সাধারণ মানুষের মধ্যে মৎস্য পালনের স্পৃহাও অনেকটাই বেড়ে যাবে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)