
কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গকে কেন্দ্র করে নেপাল, ভুটান ও ভারতবর্ষের যে বিস্তীর্ণ পাহাড়ি আছে, তাতে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গলের থেকে এক দশকে প্রায় ১১১৮ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গল হারিয়ে গিয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।
বসতি ও চাষজমি গড়তে চলছে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন। অন্তত ২৬ শতাংশ বনাঞ্চল পুরোপুরি কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে বন্যপ্রাণীদের জীবনে। বন্যপ্রাণীর দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় মানুষের সঙ্গে প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ২০টি স্তন্যপায়ী প্রাণীকে বিরল বলে চিহ্নিত করতে হয়েছে। ২৩টি প্রজাতির পাখিও কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে। বন ও বন্যপ্রানী রক্ষা করার উপায় বার করতে শিলিগুড়িতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ইসিমোড) সংস্থার উদ্যোগে তিন দিনের আলোচনা সভা চলছে।
ভারত, নেপাল এবং ভুটানের বন দপ্তর থেকে ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনী, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও চা-বাগানের মালিকদের প্রতিনিধিরা ওই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন। আলোচনা সভায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে সমস্যা নিরসনের রাস্তা খোঁজা হবে।ঐ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইসিমোড হিন্দুকুশ থেকে হিমালয় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার জীবজগৎ নিয়ে কাজ করে। শিলিগুড়ির সভায় আলোচনা হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও ভারতের ‘কা়ঞ্চনজঙ্ঘা ল্যান্ডস্কেপ’ নিয়ে। প্রায় ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এই এলাকার সিংহভাগই ভারতের। ভুটান ও নেপালের দখলে রয়েছে কমবেশি ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি এই এলাকার বন্যপ্রাণ রক্ষায় ২০ বছরের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। ২০৩৬ পর্যন্ত পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ণ চলবে।
বন্যপ্রাণকে রক্ষার পাশাপাশি এই পরিকল্পনার আর এক উদ্দেশ্য বন্যপ্রাণের দেহাংশের চোরাকারবার নিয়ন্ত্রণে আনা।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments