হেলদি ফ্যাট ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ বাদামজাত মাখন বা নাট বাটার বিশ্বব্যাপী সকলের পছন্দের। তার মধ্যেও পিনাট বাটার সবথেকে বেশি চলে। যারা ওজন কমাতে চান তারা ব্রেকফাস্টে বেশিরভাগই পিনাট বাটার সহযোগে পাউরুটি খান। কারণ এটা স্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। যাদের পিনাটে অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে তারা আমন্ড, ওয়ালনাট, হ্যাজেলনাট, কাজুবাদামের মাখন খেতেই পারেন। কিন্তু বাদামজাতীয় মাখন কী সত্যিই স্বাস্থ্যকর? এটা দিয়ে দ্রুত স্বাদু ব্রেকফাস্ট বানানো যায় ঠিকই কিন্তু প্রি ওয়ার্কআউট স্ন্যাক হিসাবে কতটা খাবেন সেটা জেনে নিন। কতটা এ জাতীয় মাখন খাবেন তা নিয়ে এখানে সবিস্তারে আলোচনা করা হল।নাট বাটার হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন, মিনারেলে সমৃদ্ধ। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেলে আপনার কোলেস্টেরলও সীমিত থাকবে। তবে এতে প্রচুর ক্যালোরি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাখ্যা, প্রতিদিন একমুঠো বাদামই যথেষ্ট আমাদের শরীরের পক্ষে।
নাট বাটারের সুবিধা:
একবার নাট বাটার খেলে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। এটি শরীরকে দ্রুত এনার্জি প্রদান করে। তাই লোকজন একে ব্রেকফাস্টে খেয়ে থাকে। এতে থাকা ফাইবার হজম ব্যবস্থার জন্য উপকারী। নাট বাটারে আছে পটাশিয়াম, যা কিডনি ভাল রাখে। সামান্য ভিটামিন বি-৬ ও জিঙ্কও এতে রয়েছে। ফলে ইমিউনিটি বাড়ে।
ওজন কমাতে নাট বাটার:
নাট বাটার লো কার্ব খাবার, ফলে যারা ওজন কমাতে চান তারা একে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা সামান্যই বাড়ায় ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ওলেইক অ্যাসিড।
এটি প্রোটিনে পূর্ণ, হেলদি ফ্যাটজাত এবং লো কার্ব হওয়ায় বিখ্যাত কিটোজেনিক ডায়েটে একে রাখা হয়। তবে দোকান থেকে কেনার সময়ে আপনি অবশ্যই লেবেল দেখে নেবেন। কারণ অনেক নাট বাটারে অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং হাইড্রোজেনেটেড তেল থাকে। নাট বাটারে অ্যালার্জি থাকলে এর বীজ বা সোয়া নাট বাটার খাওয়া যায়। সোয়া নাট বাটারে প্রোটিন বেশি ও ফ্যাট কম থাকায় তা শরীরের পক্ষে উপকারী। যাদের নাট বাটারে অ্যালার্জি তারা পেষাই করা তিলের বীজও খেতে পারেন। কারণ এটিও খুব স্বাস্থ্যকর।
- Sushmita Kundu(sushmita@krishijagran.com)
Share your comments