২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের অন্যতম মারণ রোগ হয়ে উঠতে চলেছে ডায়াবেটিস। এটি একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ৪২৫ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত। তার মধ্যে ৭২.৯ মিলিয়ন কেস ২০১৭ পর্যন্ত ভারতেই পাওয়া গিয়েছে। ঠিকমতো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ডায়াবেটিস থেকে ওজন বৃদ্ধি, কিডনি ফেলিওর, হার্টের রোগ হতে পারে।
ডায়াবেটিসে প্রয়োজন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া রিসার্চে দেখা গিয়েছে পেঁয়াজে থাকা নানা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে সুস্বাস্থ্য ও ইমিউনিটি বাড়ায়। ভারত বি আগরওয়ালের বই ‘হিলিং স্পাইসেস'-এ তিনি লিখেছেন, পশুদের উপরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এতে উপকার হয়। পেঁয়াজের যৌগ যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে কথা মেডিসিনাল ফুড জার্নেলও প্রকাশিক হয়েছে।
পেঁয়াজ কেন ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টে ভালো?
ফাইবারে পূর্ণ
বিশেষ করে লাল পেঁয়াজ তন্তুতে পূর্ণ। স্প্রিং অনিয়নে বরং কম তন্তু থাকে। ফাইবার হজম হতে সময় লাগে ফলে শর্করা দ্রুত রক্তে মিশতে পারে না। ফাইবারে মলের পরিমাণ বাড়ে, ফলে পেটও পরিষ্কার হয়। এটা হজম না হওয়ার অন্যতম কারণ।
কম কার্বোহাইড্রেট
পেঁয়াজে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। ১০০ গ্রামে পেঁয়াজে মাত্র ৮গ্রাম মতো। কার্বোহাইড্রেট দ্রুত মেটাবলাইজ হয়। তাই সুগারে লো কার্ব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেঁয়াজে কম ক্যালোরি থাকায় এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম
পেঁয়াজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় এ ধরনের খাবারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এটি খুব ধীরে ধীরে রক্তে মেশে। কাঁচা পেঁয়াজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১০ ফলে এটি জিআই ফুড।
ডায়েটে কী ভাবে রাখবেন পেঁয়াজ:
স্যুপ, স্ট্যু, স্যন্ডুইচে পেঁয়াজ দিয়ে খান। এতে টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়্ন্ত্রণ হয়। তবে অতিরিক্ত খাবেন না। সব খাবারেই একটা ভারসাম্য থাকা দরকার।
পেঁয়াজ নিয়মিত খেলে যেমন বিভিন্ন রোগ দূরীভূত হয় তেমনি চুলও থাকে খুব ঝলমলে, পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফেনিক অ্যাসিড থাকে যা চুলের স্বাস্থের জন্য খুব ভালো।
- Sushmita Kundu
Share your comments