হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। দেশের বিভিন্ন স্থানেই এর চাষ হয়। কৃষকরা মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত হলুদ বপন করেন। এর চাষাবাদ ভাল উপার্জনের একটি বিকল্প মাধ্যম। বিশেষ বিষয় হল ছায়াযুক্ত স্থানে খুব সহজেই হলুদের চাষ করা যায়। এর জন্য, বেলে-দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। হলুদ মাটির অভ্যন্তরে জন্মায়, তাই জমি ভালভাবে প্রস্তুত করতে হবে। মাটি ঝুরঝুরে করে প্রস্তুত করে নিয়ে এই ফসলটির আবাদ করা হয়।
হলুদের উন্নত জাতের বাছাই চাষে কৃষককে অধিক উপার্জন করতে সাহায্য করবে, উন্নত জাতে কৃষকরা হলুদের ভাল উত্পাদন করতে পারেন। হলুদের অনেক নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যার বপনের মাধ্যমে কৃষক ভাল ফলন পেতে পারেন। এরকমই একটি প্রজাতি হল সিম পীতাম্বর, এর বপন কৃষকের দ্বিগুণ ফলন দেয়।
পীতাম্বর জাতের হলুদ সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিনাল অ্যান্ড অ্যারোমেটিক প্ল্যান্ট উদ্ভাবন করেছে। সারা দেশের কৃষকদের এ জাতটি বপন করতে উত্সাহিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, দেশে মশলায় মরিচের পরে সুবৃহৎ আকারে হলুদ চাষ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪৫.৫ হাজার মেট্রিক টন হলুদ চাষ হয়ে থাকে।
সিম পীতাম্বর জাতের সুবিধা -
কৃষক যদি এই প্রজাতির হলুদ আবাদ করেন, তবে তিনি ১ হেক্টর থেকে প্রায় ৬৫ টন হলুদ উত্পাদন করতে পারেন। লক্ষণীয় বিষয় হ'ল অন্যান্য জাতের হলুদের চাষে ফসল প্রস্তুত হতে সময় লাগে ৭ থেকে ৯ মাস। তবে এই জাতের বপনের ফলে ফসল মাত্র ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়।
এই জাতটি পোকামাকড় প্রতিরোধী -
অন্যান্য জাতের হলুদ বপনের ফলে শস্যে পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে সিম পীতাম্বর জাতের হলুদ বপন করলে শস্যে কীটপতঙ্গের আক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। মূলত এই কারণেই জাতটি কীট প্রতিরোধী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই জাতীয় গাছের পাতাগুলিতে যদি কোন রোগ হয়ও, তাহলেও তা কোনওভাবেই ফসলের ক্ষতি করতে পারে না। এক্ষেত্রে এই জাতীয় হলুদের বপনে কৃষক ফসলের আরও ভাল উত্পাদন পেয়ে থাকেন।
স্বপ্নম সেন
Share your comments