রাম নবমীর পরই যে উৎসবগুলি পালন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল হনুমান জয়ন্তী। এই তিথিতে জন্মগ্রহন করেন বজরংবলী। বজরংবলীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী উৎসব। এই বছর তার জন্মোৎসব পালন করা হচ্ছে ৬ এপ্রিল গুরু আদিত্য যোগে। প্রায় ১২ বছর পর বজরংবলীর জন্মবার্ষিকী আদিত্য যোগে পড়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই বছর হনুমান জয়ন্তীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশ জুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি। বহু মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে মহাভাণ্ডারের। পাশাপাশি আজ একই সুরে শোনা যাবে হনুমান চল্লিশার বাণী। চৈত্র মাসের শুভ পূর্ণিমায় জন্মগ্রহন করেছিলেন হনুমান। এই বছর সেই যোগ এসেছে ৬ই এপ্রিল সূর্য উদয়ের সময়কালে তাই এই দিন পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী।
আজ যারা উপবাস করেছেন তাঁরা সারাদিন ব্যাপি শ্রী রাম, মাতা সীতা ও হনুমানকে স্মরণ করুন। নিদ্রার সময় মাটিতে ঘুমান। হনুমান চল্লিশা , বজরং বান, সুন্দরকাণ্ড এগুলি পাঠ করুন। সারাদিন ছোলা, গুড় এগুলি আহার করুন। পুজো করার সময় চন্দন, জাফরান, গোলাপ, গাঁদা, সিঁদুর এগুলি নিবেদন করুন।
আরও পড়ুনঃ আবাস যোজনা নিয়ে কড়া নির্দেশ নবান্নের! এই কাজটি করেছেন তো?
মঙ্গল, শনি ও রাহু-কেতু এগুলির প্রভাব এড়াতেই মূলত পাঠ করা হয় হনুমান চল্লিশা। তবে এটি পাঠের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যদি আপনি প্রথমবার হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে শুরু করছেন তাহলে তার দিন হল মঙ্গলবার। এছাড়াও মঙ্গলবার, শনিবার, এবং হনুমান জয়ন্তীর দিন পাঠ করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ জৈব চাষে আগ্রহী? সাহায্য করবে কেন্দ্র, জেনে নিন এই প্রকল্পগুলি
সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শনিবার স্নান করে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে পাঠ করতে বসতে হয়। পুজোর সময় আসনে বসুন। হনুমান চল্লিশা পাঠের আগে গনেশের আরাধনা করতে হয়। তারপর রাম-সীতাকে স্মরণ করতে হবে। তারপর হনুমানের প্রনাম করে হনুমান চল্লিশার সংকল্প করতে হয়। এরপর তাঁকে ফুল, ধুপ কাঠি এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে নিবেদন করুন। তারপর হনুমান চল্লিশার পাঠ শুরু করুন। পাঠ শেষে আবারও রামকে স্মরণ করুন। তারপর ভোগ হিসেবে বঁদে, বেসনের লাড্ডু, নিবেদন করুন।
Share your comments