দক্ষিণ ২৪ পরগণার নিমপীঠের রামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউট অফ বায়ো টেকনোলজিতে উৎকৃষ্ট মধু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র সুন্দরবনের মৌ পালকদের দিশা দেখাচ্ছে। এখান থেকে মৌ পালকদের মৌমাছি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় কিট, মৌমাছি ও মৌমাছি পালনের বাক্স দেওয়া হয়। এছাড়াও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মৌ পালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ১ হাজারের বেশী মৌ পালক এই মধু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হয়ে লাভবান হয়েছেন।
এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ৮ঘন্টায় ৩০০ কেজি মধু প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। বছরে ১০ মেট্রিক টন মধু প্রক্রিয়াকরণ করে এই কেন্দ্রের বছরে টার্ন ওভার ৩০ লক্ষ টাকা হয়েছে। বাইরের কেউ এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে মধু প্রক্রিয়াকরণ করতে চাইলে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা খরচ হবে। তবে ৩০০ কেজি মধু একসঙ্গে আনতে হবে, কারণ তা না হলে মেশিন চালানো যাবে না। রাজ্য সরকারের সুন্দরিনী ব্র্যান্ডের যে মধু রয়েছে তা নিমপীঠের এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রেই প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। নিমপীঠের হানি প্লাজার নিজস্ব ব্র্যান্ডের নাম ‘বিবেক’।
গত ১৬ জুলাই থেকে এখানে রাজ্য সরকারের আয়ুষ বিভাগের সাথে যৌথ উদ্যোগে হানি ক্লিনিক শুরু হয়েছে যেখানে গ্রামের মানুষদের দুর গুণাগুন সম্পর্কে জানাবেন চিকিৎসকেরা। প্রাচিন আয়ুর্বেদশ্স্ত্রে মধুর কত রকম প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে তা গ্রামের মানেষদের জানানো হবে।
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments