শীতকাল মানেই বিশ্ব জুড়ে উৎসবের মরসুম। ক্রিসমাস, হান্নুকাহ-সহ অন্য উৎসব ছাড়াও মানুষজন নিউ ইয়ার পালনের জন্য এ সময় তৈরি হতে থাকে। হিমপড়া রাতে গরম বেভারেজ কার না ভালো লাগে। কিন্তু এ সব করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কিন্তু শরীর ও পার্টি দু'টোরই বারোটা বাজবে। মনে রাখবেন এই সময়েই কিন্তু ঠান্ডা লাগার সমস্যাও বাড়ে। তা রুখতে আদা-সহ নানা ঘরোয়া টোটকা আমরা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু একটা উপাদান কমই ব্যবহৃত হয়, যা আদতে ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। সেটা হল কেশর।
কেশর বিশ্বের সবথেকে দামি মশলা, যার বেশিটা আমদানি করা হয় ইরান থেকে। কাশ্মীরেও কিছু পরিমাণ কেশরের চাষ হয়। কেশর চাষ অসম্ভব কঠিন ও পরিশ্রমের। ফলে এর দামও বেশি হয়।
দেখুন ঠান্ডা লাগায় কী ভাবে কেশর ব্যবহার করলে উপকার পাবেন:
কেশর চা
এই চা-কে কাহওয়া বলে। কাশ্মীরে এই চা খুবই প্রচলিত। কেশর, লবঙ্গ, দারচিনি জলে ভিজিয়ে এলাচ মিশিয়ে এই চা তৈরি হয়। এই চা শরীরকে গরম রাখে ইমিউনিটি বাড়ায়।
গরম দুধে মেশান
সবথেকে সহজ উপায়ে কেশর খেতে হলে একে এক গ্লাস গরম দুধে মেশান। এতে সারাদিনের ধকল কেটে গিয়ে রাতে শান্তির ঘুম হবে।
কপালে মাখুন
খুব ঠান্ডা লেগে মাথাব্যথা করছে, তা হলে দুধে কেশর মিশিয়ে উষ্ণ অবস্থায় কপালে মালিশ করুন। এটি ঘরোয়া টোটকা। ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরাতেও কেশর ব্যবহার করতে পারেন। তবে দেখেশুনে কেশর কিনবেন। কারণ অনেক সময় বাজারে জাল কেশর বিক্রি হয়। আসল কেশরকে জলে ভেজালেও সে রং ছাড়ার পরে নিজের রং বজায় রাখে, নকল কেশরের দানা সাদা রং হয়ে যায়।
- Sushmita Kundu(sushmita@krishijagran.com)
Share your comments