মিশরের বিখ্যাত গিজার পিরামিডে প্রায় সারে চার হাজার বছরের পুরনো দুটি পরিতাক্ত বাড়ি কুজে পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাদের অনুমান আধাসামরিক বাহিনীর জন্য যে খাবার তৈরি হতো, তাঁর তদারকির দায়িত্তে ছিলেন ওই বাড়ি দুটির বাসিন্দা।
প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানের দায়িত্তে ছিল এক মার্কিন গবেষণা সংস্থা। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ একাংশর ধারনা কোনও একজন সরকারি আধিকারিক থাকতেন ওই বাড়িতে, যিনি পেশায় ছিলেন প্রিস্ট বা পুরোহিত। ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া এক বিশেষ ধরণের সিলমোহর থেকে তারা এই সিধান্তে এসেছেন যে, ওয়াদাত নামক এক প্রাচীন সংস্থার আধিকারিক ছিলেন এই পুরোহিত। ওই বাড়ী থেকে পাওয়া আরও কিছু সামগ্রী থেকে অনুমান সেখানে পাওরুটী ও পানীয় তৈরি করা হতো।
প্রত্নতাত্তিকবিদ্দের মতে যে এলাকায় বাড়িদুটির খোঁজ মিলেছে সেটি তৎকালীন সময়ের জাতীয় বন্দর হিসেবে সমাদৃত হতো। কাছেই একগুচ্ছ গ্যালারির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা সেই গ্যালারি গুলিতে হাজারখানেক মানুষ বসবাস করতেন। এরা মূলত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। এদেরই খাওয়াদাওয়ার দায়িত্তে ছিলেন নতুন আবিষ্কৃত বাড়িদুটির বাসিন্দারা। হাজার জন বাসিন্দার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার পাউন্ড খাবার বনানো হতো। এলাকাটি জাতীয় বন্দর হওয়ার গোটা মিশর থেকে রসদের যোগান আসতো। তবে সব খাবারই যে গ্যালারির বাসিন্দাদের জন্য তা নয়। কিছুটা নিকটবর্তী মেঙ্কাউর পিরামিডের নির্মাতাদের জন্য যেত।
- জয়তী দে
Share your comments