শীত পড়তে শুরু করা আর শীতের চলে যাওয়া এই দুইয়ের মাঝে আমাদের নানা উৎসব নানা পার্বণ আর পিকনিকের আমেজ বজায় থাকে ঠিকই, কেবল আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায় চরম। শুকনো ত্বক এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় কমবেশি সকলেই জেরবার থাকি। তড়িঘড়ি কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে রাসায়নিক-ভিত্তিক প্রসাধনী এবং ক্রিমের উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আখেরে ক্ষতিকর এই সব প্রসাধনী আমাদের ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিই করে। বাজার ভিত্তিক ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রসাধনী পণ্যের উপর আপনার নির্ভরতা হ্রাস করে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ও প্রাকৃতিক পণ্য দিয়ে ত্বকের যত্ন নিন। ত্বক ভালো রাখতে সবার আগে সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে ভুলবেন না। কিছু বিশেষ উপাদান সহজেই আপনার রান্নাঘরে মিলবে যা আপনার ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করবে। ঘি, বা সাদা মাখন বহু শতাব্দী ধরে আমাদের দেশীয় ত্বকের যত্নের টোটকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ঘি আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্য পুষ্টিকর উপাদান। এতে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা আপনার ত্বক নরম এবং নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বকের কোষগুলিকে হাইড্রেট করে যা প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। আয়ুর্বেদে হলুদ এবং বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ঘি ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।
নরম এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে কীভাবে ঘি দিয়ে বাড়িতেই বানাবেন ফেসমাস্ক:
- একটি বাটি নিন এবং ২ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ বেসন বা হলুদ নিন এবং জল মেশান। ভাল করে তাদের মিশিয়ে নিন।
- খুব বেশি শুষ্ক করে বানাবেন না। যদি দেখেন এই ফেসপ্যাকে বেশি জল হয়ে গিয়েছে তাহলে বেসন বা হলুদ মিশিয়ে নিন আরেকটু।
- আপনার মুখে এই ফেসপ্যাক প্রয়োগ করুন। ২০ মিনিটের জন্য ওভাবেই রেখে দিন; পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সেরা ফল পেতে হলে এক সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন।
ফাটা ঠোঁটের জন্য ঘি
ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় ঘি একটি দুর্দান্ত ভালো ঘরোয়া প্রতিকার। এক চামচ ঘি গরম করে নিন। এর সঙ্গে সামান্য মধু মেশান। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁটে আলতো ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন এই ঘিয়ের ম্যাসাজ আপনার ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা কমাবে, ঠোঁট করবে নমনীয় ও আর্দ্র।
- Sushmita Kundu (sushmita@krishijagran.com)
Share your comments