পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লকের অন্তর্গত হাড়িপুকুরিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক আলাউদ্দিন মিঞা। ছোট বেলা থেকেই পারিবারিক জীবিকা কৃষির সাথে যুক্ত। অষ্টম শ্রেণী পাশ করার পর পেশাগত ভাবে কৃষির সাথে জড়িয়ে পরে - প্রায় ৩০ বছর কৃষির সাথে যুক্ত আলাউদ্দিন ভাই। শুধু নিজের সমস্যাই নয়, এলাকায় অন্যান্য কৃষকদের সমস্যার ক্ষেত্রেও শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা- আলাউদ্দিন ভাই-ই ভরসা। এহেন আলাউদ্দিনই লকডাউন এর সময় গভীর সমস্যা পরে নিজের আড়াই বিঘা পটল (Pointed Gourd)-এর ক্ষেত নিয়ে।
কৃষকদের সহায়তায় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন (Reliance Foundation) -
ধানের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে আলাউদ্দিন ভাই সবজি চাষও করে। কারণ হরিণঘাটা ব্লকের মাটি অত্যন্ত উর্বর। বিভিন্ন সবজির মধ্যে পটল টাই বেশি করে ফলে আলাউদ্দিন। কিন্তু হঠাৎই পটোল-এর পাতা নষ্ট হতে শুরু করে এবং শিকড় পচতে থাকে। প্রথমে নিজের অভিজ্ঞতায় কিছু ওষুধ প্রয়োগ করলেও সেটা বিশেষ কাজে আসে নি। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, আলাউদ্দিন ভাই বিগত দু'বছর ধরে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর বিভিন্ন কৃষি সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত অংশগ্রহণকারী এবং হেল্পলাইন পরিষেবার নিয়মিত প্রাপক। স্বাভাবিকভাবেই, এই পরিস্থিতিতে নিঃশুল্ক হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ তে যোগাযোগ করে এবং ফাউন্ডেশন এর কৃষি বিশেষজ্ঞর পরামর্শ চায়।
এরপর রোগের প্রকৃতি অনুধাবন করে কৃষি বিশেষজ্ঞ প্রয়োজনীয় অসুধ এর সুপারিশ করেন। অসুধ প্রয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যেই পটল গাছ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং পাতা গুলোও সবুজ সতেজ আকার ধারণ করে।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর পরিষেবায় প্রত্যয়ী আলাউদ্দিন ভাইয়ের কথায় " করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ লকডাউন-এর জন্য এমনিই আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তারপর পটল খেত নষ্ট হয় গেলে নিদারুন অর্থসংকটে পড়তাম। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পাশে থাকার জন্য প্রায় আড়াই বিঘার ফসল বাঁচাতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, লকডাউন-এর সময় কিভাবে কৃষি ফসল বিক্রি করতে পারবো, সেই পরামর্শও ফাউন্ডেশন-এর স্যার রা আমাদেরকে দিয়েছেন।
ওই কৃষক আরও জানিয়েছেন যে, "আমি ওই ফসল বিক্রি করে মোটামুটি ২০০০০ টাকা মত লাভ করেছি। ধন্যবাদ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আমাদের কৃষক পরিবারের পাশে থাকার জন্য" ।
আরও পড়ুন - রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন মনিকাকে করে তুলেছে আত্মবিশ্বাসী পশুপালক (Successful Women Farmer)
Share your comments