বর্তমান সময়ে অনেকেই চাকরি ছেড়ে জৈব চাষের দিকে ঝুঁকছেন। হরিয়ানার সোনিপত থেকেও এমন এক ব্যক্তির মজার খবর আসছে, যিনি কঠোর পরিশ্রমের সাথে স্মার্ট কাজে বিশ্বাসী।
পেয়ারা চাষ করে উদাহরণ তৈরি
সোনিপাতের শাহজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা কপিল ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে কৃষিক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে করোনা সময়ের পরে, যেখানে লোকেরা তাদের চাকরি নিয়ে চিন্তিত ছিল, ব্যাঙ্ক কপিলকে সোনিপত থেকে গুজরাটে স্থানান্তর করেছিল। কিন্তু গুজরাটে না গিয়ে তিনি সোনিপাতে থেকে পেয়ারা চাষ শুরু করেন , যার ফলে আজ তিনি তার বেতন থেকে চারগুণ লাভ করছেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষিতে দুবার রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার, নিজের ভাগ্য স্বর্ণাক্ষরে লিখলেন এই স্বল্প শিক্ষিতা নারী
অনেক মুনাফা অর্জন
কপিল তার জমিতে ৮টি জাতের পেয়ারা চাষ করেন। এই পেয়ারাগুলি তাইওয়ানের পেয়ারার মতো জাতকেও পরাজিত করেছে।
বিশেষ বিষয় হল, কপিলকে তার পেয়ারা বিক্রি করতে সবজির বাজারে যেতে হয় না, মানুষ নিজেই তার কাছে আসে। এর পাশাপাশি অগ্রিম অর্ডার দেওয়া হয়, যাও একটি বড় অর্জন। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তাদের কাছ থেকে পেয়ারা চাষের পরামর্শ নিতে আসে।
আরও পড়ুনঃ স্বল্প বিনিয়োগে গাঁদা চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন এই কৃষক, জানুন তার সাফল্যের কাহিনী
লেবু চাষ
এর সঙ্গে লেবু চাষও শুরু করেছেন কপিল। কপিল তার ক্ষেতে জৈব সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করেন। লেবু বিক্রির পরিবর্তে তারা আচার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে এতে দ্বিগুণ লাভ হয়।
সতর্কতা _
প্রতিটি পেয়ারা চাষীকে খুব সতর্ক থাকতে হবে কারণ ফল পাকলে যত বেশি লাভ হবে , তত বেশি ক্ষতি হতে পারে। হ্যাঁ, ফসল যাতে বেশি পেকে না যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে অন্যথায় পেয়ারা পেকে যেতে পারে এবং পচে যেতে পারে।
Share your comments