বাংলাদেশের মাগুরায় পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকবন্ধুরা | এ কারণে অন্য ফসলের পাশাপাশি পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা। এ বছর সদর উপজেলায় ৪৯৮ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। যা থেকে (সবজি হিসেবে) প্রায় ৭০-৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁপে উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে জেলায় স্থানীয় জাতের পেঁপের পাশাপাশি বারি জাতের শাহিরাচি, কাশিমপুরী, হানিডিউ, পুশাজাজেন্টসহ বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষ করেছেন কৃষকরা। তারা এসব জাতের পেঁপে ক্ষেত থেকে যাতে ভালো ফলন পেতে পারেন, তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
খরচ ও লাভের পরিমান(Profit and expenses):
সদর উপজেলার মীরপাড়ার কৃষক রতন মীর জানিয়েছেন, ১০ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন তিনি। প্রথমবার চারা লাগানোসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এরই মধ্যে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে পেঁপে বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে |
আরও পড়ুন - WB Govt take over Mother Dairy: "মাদার ডেয়ারির" নাম এবার থেকে "বাংলা ডেয়ারি", ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বর্তমানে প্রতিমণ পেঁপে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ২০ দিন পরপর প্রায় ৪০০ মণ পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে ৬-৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। কৃষক সুমন মীর ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। চলতি বছরে এ ক্ষেত থেকে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেত নষ্ট না হলে আগামীতে আরও লাভবান হওয়ার আশা রাখছেন তিনি |
পেঁপে গাছের পরিচর্যা:
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পেঁপে গাছকে বিভিন্ন রোগ (গাছের গোড়া পঁচা, পোকাবাহিত রোগ, ক্ষতিকারক ভাইরাস) থেকে মুক্ত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে গাছের খাদ্যের অভাব মেটাতে বোরোন প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পেঁপের পরাগায়নসহ ভালো ফলন পাওয়ার জন্য কৃষকদের বিঘাপ্রতি ২টি পুরুষ গাছ রাখার কথা বলা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে জেলায় স্থানীয় জাতের পেঁপের পাশাপাশি বারি জাতের শাহিরাচি, কাশিমপুরী, হানিডিউ, পুশাজাজেন্টসহ বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষ করেছেন কৃষকরা। তারা এসব জাতের পেঁপে ক্ষেত থেকে যাতে ভালো ফলন পেতে পারেন, তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানিয়েছেন, 'কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জমিতে একবার চারা লাগালে ৩ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথম বছরের পর পরের দুই বছর ক্ষেত পরিচর্যার খরচ খুবই কম লাগে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও কৃষকরা পেঁপে চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। এবং এই জেলার বাকি চাষীরা ও বেকার যুবকরাও এগিয়ে আসছেন পেঁপে চাষে | পেঁপে নিতান্তই একটি লাভজনক ফসল হিসাবে বিবেচিত হয়ে উঠছে কৃষকদের কাছে |
আরও পড়ুন - Rabbit rearing at home: জেনে নিন বাড়িতে খরগোশ পালনের পদ্ধতি
Share your comments